রাশিয়া তথ্য দিয়েছে। সেজন্যই তড়িঘড়ি ভারতীয়দের খারকিভ ছাড়ার ‘আদেশ’ দেওয়া হয়েছে। এমনটাই জানালেন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। তবে রাশিয়া কী তথ্য দিয়েছে, তা খোলসা করেননি তিনি। সংশ্লিষ্ট মহল অবশ্য দুইয়ে দুইয়ে চার করে নিচ্ছে।
বুধবার বিকেল ৪ টে ৫৭ মিনিটে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) টুইটারে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে বলা হয়, ‘খারকিভে সকল ভারতীয়দের জন্য জরুরি অ্যাডভাইজর। নিজেদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্য অবিলম্বে তাঁদের খারকিভ ছাড়তে হবে। যত দ্রুত সম্ভব PESOCHIN, BABAYE এবং BEZLYUDOVKA-তে চলে যান। যে কোনও পরিস্থিতিতে আজ সন্ধ্যা ছ'টার মধ্যে তাঁদের অবশ্যই সেখানে পৌঁছাতে হবে।’ অর্থাৎ ভারতীয়দের হাতে মেরেকেটে সাড়ে চার ঘণ্টা ছিল। দূরত্ব বেশি না হলেও কীভাবে ভারতীয়রা সেখানে পৌঁছাবেন, তা নিয়ে অনেকেই উদ্বেগে পড়ে যান। তবে ওই তিনটি এলাকার দূরত্ব ১১ থেকে ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে।
কিন্তু এমন কী হল যে এভাবে তড়িঘড়ি খারকিভ ছাড়তে বলা হল, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। তারইমধ্যে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, রাশিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই সেই ‘আদেশ’ দিয়েছে ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস। যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইউক্রেন থেকে ভারতীয়রা যাতে সুরক্ষিতভাবে দেশে ফিরতে পারেন, তা নিয়েও কথা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার এই খারকিভেই মৃত্যু হয় ভারতীয় পড়ুয়া নবীন শেখারাপ্পার। মঙ্গলবার দুপুরে তিনটে নাগাদ একটি টুইটবার্তায় ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমরা নিশ্চিত করতে পারছি যে আজ সকালে খারকিভে গোলাবর্ষণে এক ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। মৃত পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে বিদেশ মন্ত্রক। পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’ সঙ্গে তিনি বলেছেন, 'খারকিভ-সহ যে সব জায়গায় সংঘাত হচ্ছে, সেখানকার ভারতীয়দেের দ্রুত সুরক্ষিতভাবে যেতে দেওয়ার দাবি আরও জোরালোভাবে জানানোর জন্য রাশিয়া এবং ইউক্রেনের দূতকে তলব করেছেন বিদেশসচিব। রাশিয়া এবং ইউক্রেনে আমাদের রাষ্ট্রদূতরাও একই পদক্ষেপ করেছেন।' নবীনের বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।