অস্ট্রেলিয়া ও জি সেভেন দেশগুলি শুক্রবারই জানিয়ে দিয়েছে যে তারা রাশিয়ার তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৬০ মার্কিন ডলারে বেঁধে দিতে সম্মত হয়েছে। রাশিয়ার সমুদ্রজাত অপরিশোধিত তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের রাস্তায় হেঁটে ফের একবার ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের জবাবি পথ বেছে নিল ইউরোপের দেশগুলি, জি সেভেন ও অস্ট্রেলিয়া। এই সিদ্ধান্তের আগে ইউরোপিয় ইউনিয়নে শেষ মুহূ্র্তে পোল্যান্ডের তরফে সম্মতির সবুজ সংকেত আসতেই এই উপসংহারে উপনীত হয় জি সেভেন ও অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া ও জি সেভেন-এর তরফে জানানো হয়েছে যে খুব শিগগিরিই ৫ ডিসেম্বর বা তৎপরবর্তী সময়ে এই দাম বেঁধে দেওয়ার প্রক্রিয়া লাগু হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, শেষ মুহূর্তে পোল্যান্ড সম্মতি দিতেই এই বড় সিদ্ধান্তের পথে পা বাড়িয়েছে জি সেভেন। দেশগুলির তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ ঘিরে জোটবদ্ধতা আরও বেশ কয়েকটি বড় পদক্ষেপের সাক্ষী থাকতে পারে এই প্রাইস ক্যাপকে সাগু করার ক্ষেত্রে। জানা যাচ্ছে, এই বড় সিদ্ধান্ত আসার আগে দেশগুলি আশা করেছিল দাম ঘিরে কোনও বড় পর্যালোচনা আসতে পারে।
প্রসঙ্গত,ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলা রুখতে একাধিক কূচনৈতিক পথে পুতিনকে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করেছে জি সেভেন ভূক্ত দেশগুলি। তবে পুতিন কোনও মতেই ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি নন। এমনকি পশ্চিমী বিশ্বকে পুতিন সাফ জানিয়েছেন, যে যতক্ষণ না ইউক্রেনে যে ভূখণ্ড রাশিয়া দখল করেছে, তা রাশিয়ার অংশ বলে মেনে নিচ্ছে আমেরিকা সমেত বাকিরা, ততক্ষণ আলোচনার রাস্তাও রাশিয়ার পক্ষে বাধাপ্রাপ্ত। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার তেল বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থের যোগান রুখে রুশ হামলার গতি থামাতে জি সেভেন দেশগুলির তরফে এই রুশ তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার তেলের দাম কমলে মস্কোর ঘরে কম অর্থ ঢুকবে। মনে করা হচ্ছে, কম আর্থিক লাভ প্রভাব ফেলতে পারে ইউক্রেনের ওপর রুশ আগ্রাসনে।