সাক্ষী খুনে অভিযুক্ত সাহিল খান। (PTI Photo)
সম্প্রতি দিল্লিতে এক কিশোরীকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনা সাড়া ফেলে দিয়েছিল দেশে। সাক্ষী নামে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে সাহিল খান নামে এক যুবক অন্তত ৩৪ বার ছুরি দিয়ে কুপিয়েছিল। দিল্লির শাহবাদ ডেয়ারি এলাকার ঘটনা। ছুরি দিয়ে খুন করে পাথর দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল সাক্ষীর শরীর। পুলিশ সূত্রে খবর, এই খুনের পরেও কোনও অনুশোচনা নেই সাহিলের।
সাহিল আর সাক্ষীর মধ্য়ে এই সম্পর্কে একেবারেই রাজি ছিল না পরিবার। কিন্তু তবুও বাবা মায়ের কথা না শুনে সাহিলের কাছে যেত সাক্ষী। তার বাবা সাক্ষীকে মাঝেমধ্যেই বলতেন, তুমি খুব ছোট। এসব করে না। তুমি পড়াশোনায় মন দাও। আর তখনই সাক্ষী রেগে তার বন্ধু নীতুর কাছে চলে যেত। সাক্ষী সবে ১০ ক্লাস পাস করেছিল। গত ১০ দিন ধরে সে নীতুর সঙ্গেই ছিল।
হিন্দুস্তানে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে সাক্ষীর বাবা জানিয়েছেন, ২৮-২৯ তারিখের রাতে নীতু আমায় এসে বলে, সাহিল ছুরি আর পাথর দিয়ে সাক্ষীকে মেরে ফেলেছে। এরপর তিনি শাহবাদ ডেয়ারির বি ব্লক এলাকায় ছুটে যান। সেখানে তিনি মেয়েকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। তিনি সাহিলের কঠোরতম শাস্তি চান।
তবে এত বড় হত্যাকাণ্ডে ঘটানোর পরেও সাহিলের মধ্যে কোনও অনুশোচনা নেই। সূত্রের খবর, পুলিশি জেরায় সে নাকি জানিয়েছেন, সাক্ষীকে শিক্ষা দিয়েছি। এনিয়ে কোনও অনুশোচনা নেই। কিন্তু কেন সে এইভাবে খুন করল তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। তবে প্রাথমিকভাবে জেরা করতে গিয়ে পুলিশ বুঝতে পারছে সাহিল অত্যন্ত নিষ্ঠুর প্রকৃতির। মাঝেমধ্যে সে পুলিশকেও ভুলপথে চালিত করছে।
এদিকে যে সাহিলের জন্য বাড়িতে ঝগড়া করত সাক্ষী। পড়াশোনা কার্যত লাটে তুলে দিয়েছিল। মাঝেমধ্যেই বাবা মায়ের কথা না শুনে বান্ধবীর কাছে গিয়ে থাকত। তদন্তে দেখা যাচ্ছে সেই সাহিল ভয়াবহ নিষ্ঠুর। প্রেমিকাকে খুন করার পরেও তার মধ্যে এতটুকু অনুশোচনা নেই।