বিদ্যালয়গুলিতে পঠন পাঠন ব্যবস্থার মান আরও উন্নত করার জন্য কড়া পদক্ষেপ করল মহারাষ্ট্র সরকার। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও যে সমস্ত শিক্ষকরা ঠিকমতো পড়াতে পারেন না তাদের বেতন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কেটে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপক কেসারকর। জেলা পরিষদ বিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান ও সার্বিক পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: ‘এখানকার শিক্ষকরা কোনও কথা শোনেন না’, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের মন্তব্যে বিতর্ক
পুনে জেলা পরিষদের তরফে ইতিমধ্যেই স্কুলগুলিতে শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, শিক্ষা ব্যবস্থার সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।কেসারকর বলেন, ‘আমরা দেখেছি কিছু শিক্ষক ঠিকমতো পড়াতে পারেন না। তাঁদের শেখানোর দক্ষতা খারাপ। তাঁদের শেখানোর দক্ষতা বাড়াতে আমরা ৬ মাসের প্রশিক্ষণ দেব। তারপরেও যদি তাঁরা নিজেদের দক্ষতাকে বাড়াতে না পারেন তাহলে তাঁদের বেতনের ৫০ শতাংশ কেটে নেওয়া হবে।’
কেসারকর জানান, শিক্ষা দফতর ইতিমধ্যেই শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য জেলা পরিষদের তরফে বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘যদি কোনও শিক্ষক কর্তব্যরত অবস্থায় তামাক সেবন করেন বা মাতাল অবস্থায় স্কুলে আসেন তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, পুনে জেলায় ৪৮০০ টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা করে থাকে জেলা পরিষদ। সেখানে মোট শিক্ষক রয়েছেন ১১ হাজার জন।পুনে জেলা পরিষদের সিইও আয়ুষ প্রসাদ বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের সাফল্যের জন্য সবরকমের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষকদের পঠন পাঠনের ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।’ শিক্ষকদের পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিক্ষকরা কেমন পড়াচ্ছেন তার জন্য একটি অ্যাপ চালু করা হয়েছে। এই অ্যাপটি ক্লাসরুমের কার্যক্রম নিরীক্ষণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অ্যাপটির মাধ্যমে শিক্ষকদের সর্বোত্তম অনুশীলন, শিক্ষার কৌশল এবং শেখার উপকরণগুলি ভাগ করে নেওয়ার জন্য একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হিসাবেও কাজ করে।এটি শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নত করতে সাহায্য করবে বলে এক আধিকারিক জানিয়েছেন।