জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা মঙ্গলবার দাবি করেছেন যে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি বলেছেন, তিনি স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করতে পারবেন না, কারণ ‘তাঁর বিরুদ্ধে কিছুই নেই’।
রাজ্যের শীর্ষ পুলিশ কর্তা রাজীব কুমারের সঙ্গে দেখা করার পর শর্মা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, 'ডিজিপি আমার সঙ্গে দেখা করতে পারা আমাদের কাছে খুব বড় পাওনা। আমি আট-নয়বার পশ্চিমবঙ্গে এসেছি, কিন্তু ডিজিপির সঙ্গে কখনও দেখা হয়নি। ডিজিপি একমত যে পুলিশের অভাব রয়েছে ... আমরা ওখানকার (সন্দেশখালি) সব পুলিশ কর্তাকে পরিবর্তন করার পরামর্শ দিয়েছি।
তবে মহিলা কমিশনের প্রধানের দাবি, ১-২টি ফোন কলের পর কুমারের মনোভাব বদলে যায়। তিনি কথা সংক্ষিপ্ত করেন। আমরা যখন শাহজাহানের নাম নিই, তখন তাঁর পছন্দ হয়নি। তিনি (ডিজিপি) আমাদের জিজ্ঞাসা করেছেন যে তিনি কীভাবে শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করতে পারেন যখন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। তিনি বলেন, ইডির উচিত শাহজাহানকে গ্রেফতার করা। তার বিরুদ্ধে যদি কিছু না থাকে, তাহলে পুলিশ কী তদন্ত করবে?
আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে কর্তব্যরত পুলিশ কর্তার বদলি, ইডি-র হানা থেকে এখনও পর্যন্ত বদল ৩
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ডিজিপির হাত বাঁধা, উনি কিছু করতে পারবেন না। আমরা কল্পনা করতে পারি যে তিনি কতটা চাপের মধ্যে আছেন... আমার মনে হয় উনি সিরিয়াস, কিন্তু চাপের মধ্যে কাজ করবে কী করে?’
আরও পড়ুন: ‘রাতে বহিরাগত দেখলেই শাঁখ বাজান!’ নন্দীগ্রামের কৌশল সন্দেশখালিতে শেখালেন শুভেন্দু
লোকসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে নতুন লড়াই জায়গা হয়ে উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালি গ্রাম। শেখ শাহজাহান ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে বন্দুকের নলের মুখে তৃণমূল অফিসে মহিলাদের উপর যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন একাধিক মহিলা।
আরও পড়ুন: 'BJP নেত্রী ছিলেন, ওনি তো ‘রাষ্ট্রপতি শাসন’ চাইবেনই', TMC-র নিশানায় রেখা শর্মা
সন্দেশখালিতে গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান। এই সফরের পর শর্মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেম। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি করেন তিনি।
রেশন কেলেঙ্কারিতে সন্দেশখালিতে তার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যাওয়া এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের একটি দলের উপর হামলা চালায় শেখ শাহজাহানের দলবল।
শেখ শাহজাহান একটি ইটভাটায় ইউনিয়ন নেতা হিসাবে শুরু করেছিলেন, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) দিয়ে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন এবং পরে বাংলায় ক্ষমতায় আসার পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।
(এএনআই ইনপুট সহ)