মঙ্গলবার সন্দেশখালি পৌঁছে মহিলাদের নানা অভিযোগের কথা শুনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে অত্যাচারের নানা অভিযোগের কথা জানিয়েছেন মহিলারা। এদিনও তাঁরা শুন্দেু অধিকারীর কাছে বলেন, রাত্রিবেলা গ্রামে ঢুকে ভয় দেখানো হচ্ছে। তা প্রতিরোধে গ্রামবাসীদের একজোট হয়ে লড়াই করার পরামর্শ দেন তিনি।
আদালতে নির্দেশে বিজেপির কোনও নেতাকর্মী ছাড়া শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারী ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন। তাঁরা এ দিন সন্দেশখালির ৮ নম্বর মাঝের পাড়া যান। সেখানে বিনাপানি ক্লাবের মাঠ বসে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। সেই সময় শুভেন্দু নন্দীগ্রামের অভিজ্ঞতা তুলে ধরনের তাঁদের কাছে। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘সন্ধ্যার পর কোনও বহিরাগতকে দেখলেই শাখ বাজাবেন। সেই অনুযায়ী সবাই সতর্ক হয়ে যাবেন। একজোট হয়ে লড়াই করবেন।’
পড়ুন। এক লক্ষ টাকা করে সাহায্য ঘোষণা করলেন রাজ্যপাল, চোপড়ার ঘটনায় বিএসএফের কাছে রিপোর্ট তলব
পাত্র পাড়ায় নির্যাতিতার বাড়িতে সিঁড়িতে বসেই মহিলাদের অভিযোগ শোনেন বিরোধী দলনেতা। নির্যাতিতার বলেন, ‘আমার বাড়িঘর সব ভেঙে দিয়েছে। ঘরের নীচ দিয়ে দেখার চেষ্টা করছিল’ আমি ঘরে আছে কিনা। আমি লুকিয়ে ছিলাম বাচ্চা নিয়ে। রাত সাড়ে এগারোটা না নাগাদ এসেছিল। দেখতে পেলে আমাকে মেরে ফেলত।’
সন্দেশখালির অপর এক মহিলা, বিজেপি কর্মী স্ত্রী জানান, রাতে পুলিশের পোশাক পরে কয়েকজন দুষ্কতী তার বাড়িতে ঢোকে সন্তানকে কোল থেকে ফেলে দেয়। বাড়িঘর ভাঙচূর করে। গ্রামের লোক ছুটে আসতেই তারা পালিয়ে যায়। গ্রামবাসীরা বাববার অভিযোগ করেন বহিরাগত এসে অত্যাচার চালাচ্ছ। তার পরিপ্রেক্ষিতেই বিরোধী দলনেতা একজোট হয়ে লড়াইয়ের পরামর্শ দেন।
ওই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে শুভেন্দু জানতে চান, কতদিন তাঁরা ভোটে দিতে পারেননি। বাসিন্দারা বলেন, তাঁদের ভোট দিতে যেতে দেওয়াই হয় না। বাচ্চাদের স্কুল পাঠাতেও শঙ্কা বোধ করেছেন বলে শুভেন্দুকে জানান মহিলারা। বিরোধী দলনেতা তাঁদের বলেন, ‘আজকে থেকে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাও। কিছু হলে আমার দায়িত্ব।’
সন্তানদের সুরক্ষায় অন্যত্র স্কুলে ভর্তি করছেন বাবা-মা
অশান্ত সন্দেশখালির শান্ত হবে কবে সেটাই এখন প্রশ্। ক্ষোভ প্রশমনে সরকার শিবির করলেও বাসিন্দাদের দাবি অনুযায়ী শেখ শাহজাহান ধরা না পড়ে শান্ত হবে হবে না বাদাবন ঘেরা এই অঞ্চল। মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগাতে মাঠে নেমেছে রাজনৈতিক দলগুলো। ফলে অভিভাবকরা আতঙ্কিত সন্তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
এরকমই বেশ কয়েকজন অভিভাবক তাঁদের সন্তানকে নদী পার করে পাঠিয়ে দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলে। সেখানে মহিষাদল ব্লকের নাটশাল- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম হস্টেলে রেখে পড়াশুনা করানোর জন্য ভর্তি করেছেন।
(পড়ুন। অশান্ত সন্দেশখালি, সন্তানদের সুরক্ষায় অন্যত্র স্কুলে ভর্তি করছেন বাবা-মা