জেল থেকে বেরিয়েই একেবারে বিস্ফোরক স্লোগান তুললেন সঞ্জয় সিং। আপ নেতা। তিহাড় জেল থেকে বেরিয়েই তিনি স্লোগান তোলেন, জেল কি তালে টুটেঙ্গে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ছুটেঙ্গে…
জেলের বাইরে তখন আপ নেতা কর্মীদের ভিড়। উল্লসিত তাঁরা। সেখানে সঞ্জয় বলেন, আজ উৎসবের দিন নয়। এটা লড়াই আন্দোলনের দিন। আমাদের দলের নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সত্য়েন্দ্র জৈন, মণীষ শিশোদিয়াকে জেলে রাখা হয়েছে। আমার এই বিশ্বাস আছে যে জেলের তালা ভাঙবে। মুক্তি পাবেন তাঁরা। খবর সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে।
দেশের শীর্ষ আদালত সঞ্জয় সিংয়ের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে।এরপরই তিহাড় জেল থেকে মুক্ত হন তিনি। আর জেল থেকে বেরিয়েই তিনি তীব্র স্লোগান দেন। বলেন উৎসবের দিন আজ নয়। আর লড়াই করার সময়।
একাধিক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে প্রচুর আপ কর্মী সমর্থক জেলের বাইরে জড়ো হয়েছেন। তারা সঞ্জয় সিংয়ের নামে স্লোগান দেন। তিনি একটি গাড়ির মাথায় উঠে পড়েন। এরপর তিনি স্লোগান দিতে শুরু করেন। বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। এরপর জেল থেকে বেরিয়েই স্লোগান দিলেন তিনি।
আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, সঞ্জয় সিং সবে জেল থেকে বেরিয়েছেন। হাজার হাজার পার্টি কর্মী তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন এটা উৎসব করার সময় নয়। এটা লড়াই করার সময়। অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মণীশ শিসোদিয়া, সত্য়েন্দ্র জৈন এখনও জেলবন্দি। যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা জেল থেকে মুক্তি না পাচ্ছেন আমরা উৎসব উদযাপন করব না। আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।
এদিকে দিল্লির রউস অ্য়াভিনিউ কোর্ট জামিনের আবেদন মেনে নিয়েছে। সেই সঙ্গে সঞ্জয় সিং -এর উপর কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। শর্ত আরোপ করা হয়েছে যে তিনি যদি দিল্লি এনসিআর-এর বাইরে যান তবে যেন তিনি গুগল লোকেশন অন করে রাখেন।
সেই সঙ্গেই আদালতের তরফে শর্ত আরোপ করা হয়েছে যে তাকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। তাকে দেশ ছাড়লে হবে না। তদন্তকারী আধিকারিকের কাছে ফোন নম্বর জমা রাখতে হবে। তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। প্রসঙ্গত গত অক্টোবর মাসে ইডি সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতার করেছিল। দিল্লিতে আবগারি মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এদিকে সম্প্রতি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।