কিংফিশার এয়ারলাইন্স মামলায় মুখে হাসি ফুটল ঋণদানকারী ব্যাঙ্কের। বিজয় মাল্যের সংস্থার শেয়ার বিক্রি করে ৭৯২ কোটি টাকা বেশি উদ্ধার করেছে এসবিআই। ব্যাঙ্কের আর্থিক প্রতারণার মামলায় মাল্যর সংস্থা ইউনাইটেড ব্রিওয়্যারিজ লিমিটেডকে বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। এই আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এসবিআইয়ের নেতৃত্বে একদল ঋণদানকারী সংস্থা ইডির দেওয়া শেয়ার বিক্রি করে ৭৯২ কোটি টাকা বেশি উদ্ধার করেছে।
চলতি বছরের জুনেই ইডি জানিয়েছিল, ইউনাইটেড ব্রিওয়্যারিজের শেয়ার বিক্রয় করে ৮০০ কোটি টাকা উঠে আসতে পারে। আর্থিক প্রতারণার আইনের আওতায় মাল্যর যে পরিমাণে সম্পদ ইডি বাজেয়াপ্ত করেছিল, সেগুলো বিক্রি করে মোট ৯,০৪১.৫ কোটি টাকা উঠে আসার আশা করছিল আর্থিক সংস্থাগুলো। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ব্যাঙ্কগুলি ইডির বাজেয়াপ্ত করা সম্পদ বিক্রি করে ৭১৮১.৫ কোটি টাকা উদ্ধার করতে পেরেছিল।
দেশের অর্থনৈতিক আইনে উল্লেখ রয়েছে, যদি কেউ আর্থিক প্রতারণা করে বিদেশে পালিয়ে যায়, সেক্ষেত্রে তদন্তকারী সংস্থা পলাতকের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারবে। সেই বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তি ভবিষ্যতে কখনই আর দাবি করতে পারবে না অপরাধী। ২০০৩ সালে চালু হওয়া মাল্যর কিংফিশার এয়ারলাইনস বিমান শিল্পের প্রতিযোগিতায় টিকতে পারেনি। ফলে, ২০১২ সালে সংস্থা ডুবে যায়।
ইডি বলেছে যে, পিএনবি’র আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় নীরব মোদীর ১,০৬০ কোটি টাকার সম্পদ ছিল। ব্যাঙ্ক আদালতের মাধ্যমে পলাতক অপরাধী আইনের আওতায় ৩২৯.৬৭ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে। ইডি আরও জানিয়েছে, এই মামলায় আর্থিক প্রতারণা বিরোধী আইনের অধীনে মোট ১৮, ২১৭.২৭ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ব্যাংক ও সরকারি কোষাগার এই দু’টি মামলায় জড়িত অর্থের ৫৮ শতাংশ উঠে এসেছে।
উল্লেখ্য, ইংল্যান্ডে পালিয়ে যাওয়া মাল্যের বিরুদ্ধে ইডি ও সিবিআই যৌথভাবে তদন্ত করছে। ইডি জানিয়েছে, ভারতের হাতে তাঁকে হস্তান্তর করার বিরুদ্ধে ওখানকার সুপ্রিম কোর্টে করা মামলা হেরে গিয়েছেন বিয়ার ব্যারন। এমনকী, পুনরায় আপিল করার অনুমতিও খারিজ করে দিয়েছে আদালত। সেক্ষেত্রে তাঁকে ভারতের হাতে হস্তান্তর শুধু এখন সময়ের অপেক্ষা। যদিও তাঁদের আইনজীবীদের তরফে এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।