বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > সরকারি খাতায় কোভিডে মৃত ১০ হাজার, ক্ষতিপূরণের আবেদন ১ লাখ, বড় নির্দেশ আদালতের

সরকারি খাতায় কোভিডে মৃত ১০ হাজার, ক্ষতিপূরণের আবেদন ১ লাখ, বড় নির্দেশ আদালতের

ক্ষতিপূরণের আবেদনের সঙ্গে সরকারি খাতায় মৃতের সংখ্যা মিলছে না কিছুতেই। (প্রতীকী ছবি সৌজন্যে পিটিআই)

অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল একটা রিপোর্ট দাখিল করেছিলেন আদালতে। সেই স্ট্যাটাস রিপোর্টটি খতিয়ে দেখে আদালত।

ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদনপত্রের সঙ্গে সরকারি খাতায় মৃত্যুর সংখ্যা মিলছে না কিছুতেই। এবার এনিয়েই কড়া নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। জাস্টিস এমআর শাহ ও জাস্টিস বিভি নাগারত্নের বেঞ্চ জানিয়েছে,কিছু রাজ্যে দেখা যাচ্ছে, ক্ষতিপূরণের দাবিতে আবেদনপত্র বেশি অথচ কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা কম দেখানো হচ্ছে। তার মানে এটা নয় যে আবেদনপত্রগুলো সব ভুল। তার মানে সরকারি যে তথ্য় রয়েছে তা ঠিক নয়। তাদের এবার সরকারি ফিগার যাচাই করে দেখতে হবে। এদিকে অ্য়াডিশনাল সলিসিটর জেনারেল একটা রিপোর্ট দাখিল করেছিলেন আদালতে। সেই স্ট্যাটাস রিপোর্টটি খতিয়ে দেখে আদালত। সেখানে দেখা যায় একাধিক রাজ্যে এই আবেদনপত্রে সংখ্যা মৃত্য়ুর সংখ্য়ার তুলনায় অনেকটাই বেশি।

গুজরাতে মৃত্যুর সংখ্য়া দেখানো হয়েছে ১০,০৮৯ অথচ আবেদনপত্র জমা পড়েছে ১০২,২৩০টি। এখনও পর্যন্ত ৮২ হাজার আবেদনপত্র নিয়ে কিছুটা বোঝাপড়া হয়েছে। এদিকে এই আবেদনপত্রের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এদিকে কোভিডে মৃতের পরিজনদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল গত জুন মাসে। এরপর থেকে ক্ষতিপূরণের দাবি করে একের পর এক আবেদনপত্র জমা পড়তে থাকে। কিন্তু এই আবেদনপত্র ক্রমেই বাড়ছে। মহারাষ্ট্রে ১৮ই জানুয়ারি পর্যন্ত ১৪২,৭০৫ জনের সরকারিভাবে মৃত্যুর সংখ্য়া নথিভুক্ত করা হয়েছিল। এদিকে সেই নিরিখে আবেদনপত্র জমা পড়ে ২১৩,৮৯০টি। সেই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সবরকম উদ্যোগ নিতে হবে। আবেদনপত্র পাওয়ার পর সর্বোচ্চ ১০দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। 

 

বন্ধ করুন