কেন্দ্রকে দেওয়া এক নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট দেখতে চেয়েছে সেই সমস্ত ফাইল যা 'ইলেকশন কমিশনার' হিসাবে অরুণ গোয়েলের নিযুক্তি সম্পর্কিত। প্রসঙ্গত, এই অরুণ গোয়েলের নিযুক্তি সদ্য ১৯ নভেম্বর হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির বেঞ্চ জানতে চেয়েছে, এই নিযুক্তি কোনও ধোঁয়াশার মধ্যে হয়েছে কি না!
বিচারপতি কে এম জোসেফের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানতে চেয়েছে, যেহেতেু সদ্য তিনি স্বেচ্ছা অবসর নিয়েছিলেন, তারপর তাঁকে নির্বাচনী আধিকারিক করে তোলার নেপথ্যে ঠিক কী কারণ রয়েছে? সেই কারণেই এই ফাইল দেখতে চায় শীর্ষ আদালত। এই নিযুক্তি নিয়ে কোর্টের দ্বারস্থ হন বিশিষ্ট আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। মামলা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল নিজের বক্তব্য তুলে ধরে ‘অবজেকশন’ জানালেও, তা সরিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত, এই নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল কোর্টে পেশ করার কথা বলেছে। এদিকে, বিচারপতিদের এই বেঞ্চ বলেছে, ‘আমরা দেখতে চাই কীভাবে এই নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। আপনাদের ভয় হওয়ার কথা নয়, কারণ আপনারাই বলছেন, সমস্তটা ঠিক আছে।’
জানা গিয়েছে, যে দিন অরুণ গোয়েলকে নির্বাচনী আধিকারিক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে, সেই দিন থেকে ছয় সপ্তাহ আগে তাঁকে স্বেচ্ছা অবসরের অনুমতি দেওয়া হয়। প্রশ্ন উঠছে, স্বেচ্ছা অবসরের অনুমতির পর এই নিয়োগ ঘিরে। পিটিশনরের তর কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। তাঁর বক্তব্য, একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে এখানে নির্বাচনী আধিকারিক করা হয়েছে। প্রশান্ত ভূষণ বলেন, ‘তাঁর (অরুণ গোয়েলের) নিযুক্তির নির্দেশ শনিবার কিম্বা রবিবার ইস্যু হয়, আর কাজের দিন শুরু হয়েছে সোমবার থেকে।’ ফলে সমস্ত বিষয় নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। যে ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে এই সওয়াল জবাব পর্ব চলেছে, সেই অরুণ গোয়েল ১৯৮৫ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব পদে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে তাঁর স্বেচ্ছা অবসর ও নিয়োগ হয় নির্বাচনী কমিশনার হিসাবে। যা নিয়ে চলছে মামলা।