কোভিড পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য হারে সার্চ ইঞ্জিনে কমেছে হৃদরোগ সংক্রান্ত তথ্য তালাশের হার। ব্রিটেন, স্পেন, ইতালি ও আমেরিকায় গুগল ট্রেন্ডস ডেটা বিশ্লেষণ করে এমনই জানিয়েছেন মেয়ো ক্লিনিকের গবেষকরা।
সমীক্ষায় ‘বুকে ব্যথা’ ও ‘হার্ট অ্যাটাক’-এর মতো শব্দ নিয়ে কত বেশি সার্চ করা হয়েছে, সে হিসেব খুঁটিয়ে দেখেছেন গবেষকরা। সমীক্ষা পর্ব চলেছে ২০১৯ সালের ১ জুন থেকে ৩১ মে পর্যন্ত।
দেখা গিয়েছে, অতিমারী শুরু হওয়ার আগে ওই শব্দগুলি প্রায় একই পরিমাণে ব্যবহার করে সার্চ করেছেন ইউজাররা। কিন্তু তার পরে কোভিড পরিস্থিতি চালু হলে ‘হার্ট অ্যাটাক’ সম্পর্কে জানার আগ্রহ কমে, আর ‘বুকে ব্যথা’ সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রায় ৩৪% বাড়তে দেখা যায়।
মেয়ো ক্লিনিক-এর রচেস্টার ফেলো কনর সেনেকাল তাঁর গবেষণাপত্রে জানিয়েছেন, ‘আশ্চর্যজনক ভাবে হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে সার্চ তুলনায় অনেক কমে যায় এবং একই সঙ্গে এই সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হওয়া রোগীর সংখ্যাও কমতে থাকে। পাশাপাশি, বাড়তে থাকে বুকে ব্যথাজনিত তল্লাশি ও সমস্যা। এর থেকে বোঝা যায়, অনেকেই বুকে ব্যথা সংক্রমণজনিত উপসর্গ হিসেবে ভুল বুঝেছেন অথবা কোভিড সংক্রমণের কথা ভেবে চিকিৎসা করাননি।’
এ ছাড়া সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে যে, কোভিড উপসর্গের পাশাপাশি সাধারণ কাশি ও জ্বর নিয়েও সার্চ ইঞ্জিনের শরণাপন্ন হয়েছেন বহু ইউজার। তবে গোটা মে মাস বুকে ব্যথা নিয়ে যে বেশি মাথা ঘামিয়েছেন ইউজাররা, তা সমীক্ষায় স্পষ্ট।
একই সঙ্গে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে কী ভাবে বাড়িতে চিকিৎসা করা যায়, সে সম্পর্কে বিশেষ খোঁজখবর করেছেন ইউজাররা। অর্থাৎল এক্ষেত্রেও হাসপাতাল এড়িয়ে থাকার প্রবণতা কাজ করেছে।
সেনেকালের পরামর্শ, এমন সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বে হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীদের সাহায্য নেওয়া দরকার। অন্যথায় বিপদ ঘটতে পারে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।