সীমা হায়দার। দেশবাসী বর্তমানে এই নামটির সঙ্গে মোটামুটি পরিচিত হয়ে গিয়েছেন। পাকিস্তান থেকে প্রেমের টানে ভারতে চলে এসেছিলেন সীমা হায়দার। ভারতের যুবক সচিন মীনাকে বিয়ে করেছেন তিনি। তবে সীমার প্রথম স্বামী গুলাম হায়দার অবশ্য গোটা বিষয়টি অত সহজে ছাড়তে রাজি নন। তিনি সচিন ও সীমাকে ৩ কোটি টাকার নোটিশ পাঠিয়েছেন বলে খবর। বাচ্চাদের পাকিস্তানে নিয়ে আসার জন্য তিনি ভারতের এক আইনজীবীর মাধ্য়মে আবেদন করেছেন বলেও খবর। এমনকী ডঃ এপি সিং যিনি নিজেকে সীমার দাদা বলে দাবি করেছিলেন তাঁর কাছেও ৫ কোটি টাকার নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
এদিকে গুলাম হায়দারের আইনজীবী আলি মোমিন ওই দম্পতিকে নোটিশ পাঠিয়েছেন। দম্পতিকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এদিকে সংবাদ সংস্থা পিটিআই আগেই জানিয়েছিল, একজন শীর্ষস্থানীয় পাকিস্তানি আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী আনসার বার্নির কাছে আগেই গিয়েছিলেন গুলাম হায়দার। মূলত তিনি যেটি চাইছেন সেটা হল তার বাচ্চাদের নিজের কাছে নিয়ে আসতে।
সীমা হায়দার। বয়স ৩০ বছর। তিনি পাকিস্তানের সিন্ধের বাসিন্দা। তিনি বেআইনি পথে গত বছরের মে মাসে তিনি পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে এসেছিলেন। এদিকে গ্রেটার নয়ডার প্রেমিক সচিন মীনার সঙ্গে তার প্রেম জমে উঠেছিল। তারপরেই সেই প্রেমের টানে তিনি ভারতে চলে আসেন। কিন্তু তার প্রথম স্বামী রয়েছেন। সীমা বাচ্চাদের নিয়ে ভারতে চলে এসেছিলেন। আর সেই বাচ্চাদের ফেরত পেতে তিনি সবরকম চেষ্টা করছেন। সেই সঙ্গেই এবার তিন কোটি টাকার নোটিশ পাঠালেন তিনি।
গত বছর মে মাসে পাকিস্তান থেকে নেপাল হয়ে অবৈধভাবে সীমা ভারতে চলে এসেছিলেন। ভারতের যুবক সচিনের প্রেমের টানেই তিনি ভারতে চলে আসেন। তারপর থেকে তিনি নানা ভাবে ভারতের প্রতি তাঁর টান প্রমাণ করতে সবরকম উদ্যোগ নিয়েছেন।
উত্তর প্রদেশের গ্রেটার নয়ডার বাসিন্দা সচিন মীনাকে বিয়ে করেন তিনি। বর্তমানে তাঁর সঙ্গেই থাকেন। এমনকী তিনি গর্ভবতী বলেও খবর। তবে সূত্রের খবর, পাকিস্তানের আইনজীবী তথা মানবাধিকার কর্মী আনসার বার্নি জানিয়েছিলেন, সীমার পাকিস্তানি স্বামী গুলাম হায়দার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। চার সন্তানকে যাতে পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনা যায় সেব্যাপারে তিনি চেষ্টা করছেন। এরপর ভারতের আলি মোমিন নামে এক আইনজীবীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁকে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত সীমার পাকিস্তানি স্বামী সৌদি আরবে কাজ করতেন। আর সেই সময়ই ভারতের যুবক সচিনের প্রেমে পড়েছিলেন সীমা। এরপর সেখান থেকে তিনি চলে আসেন ভারতে।