সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলা থেকে সরানো হল মুসলিম ওয়াকফ বোর্ড ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সংগঠনের প্রতিনিধিত্বকারী বর্ষীয়ান আইনজীবী রাজীব ধাওয়ানকে। মঙ্গলবার ফেসবুক পোস্টে নিজেই এই খবর জানিয়েছেন ধাওয়ান।
এ দিন ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, ‘এইমাত্র বাবরি মামলায় অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড (এওআর) দায়িত্ব থেকে আমাকে ছেঁটে ফেললেন এজাজ মকবুল, যিনি জমিয়তের প্রতিনিধিত্ব করছেন। চিঠি দিয়ে আমিও কোনও ভণিতা না করে এই ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত স্বীকার করে নিয়েছি। এই মামলায় আমি আর জড়িত নই।’
সংবাদসংস্থা এএনআই-এর মতে, অসুস্থতার কারণেই তাঁকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধাওয়ান নিজেই।
সোমবার অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের অনুমোদন দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন জমা পড়েছে। আবেদনটি জমা দিয়েছেন অযোধ্যা জমি মামলার আসল মকদ্দমাকারীর উত্তরাধিকারী মৌলানা সৈয়দ আশাদ রশিদি। আবেদনে তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ও উত্তরপ্রদেশ সরকারকে বাবরি মসজিদ পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া না পর্যন্ত মামলার বিচার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে বলে বিবেচিত হয় না।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসে রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিত মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার পরে এই প্রথম সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানানো হল। ওই রায়ে সুপ্রিম কোর্ট সুন্নি বোর্ডকে মসজিদ নির্মাণের জন্য সুন্নি বোর্ডকে অযোধ্যায় বিকল্প ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকারকে।
প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে রামলালা বিরাজমানের মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দেয়।
রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনে বাবরি মসজিদ ধ্বংস-সহ হিন্দুপক্ষের দ্বারা একাধিক বেআইনি কাজের কথা স্বীকার করেছে শীর্ষ আদালত, পরে বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দিয়ে পরোক্ষে সেই সমস্ত অবৈধ কাজকেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
নিজের আবেদনে রশিদি জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর হলেও সুবিচার ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়’ বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। ২১৭ পাতার আবেদনপত্রে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মোট ১৪টি ‘ভ্রান্তি’ চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও আদালতের নির্দেশে মসজিত গড়ার জন্য ৫ একর বিকল্প জমিদানের বিরুদ্ধে কোনও আপত্তি জানানো হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুন্নি বোর্ড।