আগেই ৩৯ জন বিধায়ক হারিয়েছেন। এরই মাঝে সংসদ হারানোর আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে শিবসেনার অন্দরে। শিন্ডে শিবির ইতিমধ্যেই দাবি করেছে যে দলের অধিকাংশ সাংসদ তাদের সঙ্গে রয়েছেন। যদিও উদ্ধব ঠাকরে এখনও খাতায় কলমে শিবসেনা প্রধান। এই টানাপোড়েনের মাঝেই এবার শিবসেনার সাংসদ রাহুল শেওয়ালে উদ্ধবকে চিঠি লিখে আর্জি জানালেন যাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির মনোনীত প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, উদ্ধবের শিবসেনা শিবির এখনও কংগ্রেস, এনসিপির সঙ্গে সখ্যতা বজায় চলেছে। সেই অর্থে তারা বিরোধীদের সঙ্গে আছে। এই আবহে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকেই সমর্থন জানাতে পারে তারা। তবে মঙ্গলবার উদ্ধবের সঙ্গে দেখা করে রাহুল দাবি করেন যাতে দল দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করে। রাহুল বলেন, ‘দ্রৌপদী মুর্মু আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে এসেছেন এবং সামাজিক জীবনে তাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।’
অবশ্য, রাজনৈতিক মহলের মতে এই আবেদন নিছক রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে নয়। এটা আদতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়ার পরীক্ষার অংশ। উল্লেখ্য বিগত কয়েকদিনে মহারাষ্ট্রে শিবসেনার অন্দরে চিড় দেখা দিয়েছে। উদ্ধবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে প্রায় ৪০ বিধায়কের সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন একনাথ শিন্ডে। বিজেপির সঙ্গে শিন্ডে জোট বাঁধলেও উদ্ধবের গলায় এখনও বিজেপির প্রতি শ্লেষ। এই পরিস্থিতিতে দলের সাংসদদের কোনও এক পক্ষ বেছে নিতে বলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই একনাথের ছেলে শ্রীকান্ত শিন্ডে এবং ঠানের সাংসদ রজন বিচারে একনাথ গোষ্ঠীর সঙ্গে যাওয়ার ঘোষণা করেছেন। লোকসভায় শিবসেনার মোট ১৯ জন সাংসদ আছেন। এই আবেহ উদ্ধব গোষ্ঠী কতজন সাংসদকে নিজেদের শিবিরে রাখতে পারে তাই দেখার।