কংগ্রেসের অনুপস্থিতিতে মধ্য প্রদেশ বিধানসভায় আস্থাভোটে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা বজায় রেখে জয়ী হলেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তাঁকে সমর্থন জানালেন ২ নির্দল বিধায়ক, ২ বিএসপি বিধায়ক এবং একমাত্র সপা বিধায়ক।
মধ্য প্রদেশের ১৯তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সোমবার রাতে শপথগ্রহণ করলেন শিবরাজ সিং চৌহান। তার আগেই তিনি বিজেপি সংসদীয় দলনেতা নির্বাচিত হন।
এদিন আস্থাভোট আয়োজিত হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী চৌহান বলেন, ‘রাজ্যবাসীর প্রাণরক্ষা করাই আমার সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য। এই কারণেই রাজ্যের ৩৬টি জেলা লকডাউনের আওতায় রাখা হয়েছে এবং দুই জেলায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। এই সমস্ত জেলার বাসিন্দাদের সমস্যা হচ্ছে তবে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে এই পদক্ষেপ জরুরি।’
এ দিন বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলে পদত্যাগী বিজেপি বিধায়ক এ পি সিং, যিনি তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ নিয়ে অধ্যক্ষ নর্মদা প্রসাদ প্রজাপতির সঙ্গে আগে বিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন। এ দিন তিনি বিধান সভার প্রধান সচিব হিসেবে অধিবেশনে উপস্থিত থাকেন।
বর্তমানে মধ্য প্রদেশ বিধান সভায় বিজেপির দখলে রয়েছে ১০৭টি আসন ও কংগ্রেসের ৯২টি আসন। ২২ জন কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফার পরে জেরে বিধান সভার মোট আসনসংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২০৬টিতে। বিধান সভায় গরিষ্ঠতা পেতে ন্যূনতম ১০৪টি আসন আবশ্যিক।
বিদায়ী অধ্যক্ষ এক আগে মাঝপথে বাজেট অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়ায় মঙ্গলবার মতুন অধিবেশন চালু হল। এ দিন সকালেই পদত্যাগ করেছেন ডেপুটি স্পিকার তথা কংগ্রেস বিধায়ক হীনা কানওয়ারে। এই কারণে অধিবেশনে পৌরহিত্য করেন প্রিসাইডিং অফিসার জগদীশ দেউড়া।