করোনা আবহে যাত্রী পরিবহণ থেকে শুরু করে পণ্য পরিবহণ সব ক্ষেত্রেই রেলের আয় কমেছে। সংসদে রেল সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশের সময়ে এমনই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। রেলমন্ত্রীর কথায, ‘গত তিন বছর ধরেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে রেলের আয় কমেছে। ২০২০–২১ অর্থবর্ষের শেষ থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত যাত্রী পরিবহণে রেলের আয় গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩৬,৯১৮.৮৬ কোটি টাকা কমেছে।’
এই ঘাটতি আয়ের পেছনে করোনা মহামারী ও দীর্ঘদিন ধরে চলা লকডাউন মূল কারণ বলে রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে। রেলমন্ত্রীর কথা থেকেই উ্ঠে এসেছে, দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউন চলার ফলে অনেক যাত্রীর টিকিটের টাকাও রেলকে ফেরত দিয়ে দিতে হয়েছে। প্রায় ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি টাকা রেলকে ফেরত দিয়ে দিতে হয়েছে। শুধু গত অর্থবর্ষের কথা তুলে ধরেই নয়, ২০১৭–১৮ ও ২০১৮–১৯ অর্থবর্ষেও রেলের আয়ের কম হওয়ারও ব্যাখ্যা করেন রেলমন্ত্রী।
তিনি জানান, এই দুই বছরেই শহরতলি ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় যাত্রী পরিবহণের হার কমেছে। শুধু যাত্রী পরিবহণই নয়, পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রেও আয় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এভাবে যদি রেলের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আয়ের পরিমাণ কমতে থাকে, তাহলে রেলের বিভিন্ন চালু প্রকল্পে অর্থের জোগান কীভাবে হবে? ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন মেট্রো রেল প্রকল্পের কাজ চলছে। এছাড়া গোটা দেশজুড়ে বিভিন্ন রেলপথ সম্প্রসারণ, বৈদ্যুতিকরণ–সহ একাধিক প্রকল্পের কাজ জারি আছে। রেলের ভাঁড়ারে টাকা না এলে কীভাবে এই প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে চালানো সম্ভব সেটাই এখন চ্যালেঞ্জের বিষয়।