শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডে তদন্তের গতিপ্রকৃতি ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। সমস্ত নজর আপাতত রয়েছে ধৃত আফতাব পুনাওয়ালার নারকো টেস্টের দিকে। আফতাবকে ইতিমধ্যেই জেরা করেছে পুলিশ। তবে হদিশ মেলেনি খুনের অস্ত্র ও শ্রদ্ধার দেহের বাকি অংশের। এদিকে, শুক্রবার কোর্ট তার নির্দেশে জানিয়েছে আগামী ৫ দিনের মধ্যে আফতাবের নারকো টেস্ট হবে। তবে কোনও মতেই থার্ড ডিগ্রি প্রয়োগ করা যাবে না অভিযুক্ত আফতাবের উপর।
দিল্লির রোহিনী ফরেন্সিক সায়ান্স ল্যাবকে এই নারকো টেস্টে সংগঠিত করার নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। এর আগে বৃহস্পতিবারই সকেত কোর্ট আফকাব সম্পর্কে এই বিষয়ে অনুমতি দেয়। কারণ, শ্রদ্ধা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার কথায় অসঙ্গিত পাচ্ছে পুলিশ। ফলে তার বক্তব্যে মিথ্যা -সত্য যাচাই করতেই এই নারকো টেস্ট করা হবে। এদিকে, শুক্রবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিজয়াশ্রী রাঠোর বলেছেন, ‘তদন্তকারী অফিসারকে বলা হচ্ছে, কোনও রকমের থার্ড ডিগ্রি যেন প্রয়োগ না করা হয়।’
মূলত, এই নারকো টেস্ট হল একটি তদন্তকারী পদ্ধতি। এই বিশেষ টেস্টের দ্বারা যাচাই করা হয় অভিযুক্ত সত্যি বলছে, নাকি মিথ্যা। ব্যক্তিতে মধ্যস্তরীয় সচেতনভাবের মধ্যে এনে এই টেস্ট করা হয় বলে জানা যায়। আফতাব পুনাওয়ালাকে ইতিমধ্যেই নানান প্রশ্ন করেছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, আমেরিকান টিভি সিরিজ ‘ডেক্সটার’ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে পড়ে আফতাব। সে পুলিশি জেরার মুখে এও জানিয়েছে যে শ্রদ্ধাকে হত্যা করে সে ৩৫ টি টুকরো করে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছে। জানিয়েছে, শ্রদ্ধার মাথার অংশে মুখটি সে পুড়িয়ে দিয়েছে। তবে আফতাবের বলা বয়ান কতটা সত্যি বা মিথ্যা তা যাচাই করতেই আগামী ৫ দিনের মধ্যে নারকো টেস্ট হবে শ্রদ্ধা হত্যায় অভিযুক্ত আফতাবের।