বন্দরের অধীনে প্রচুর জমি। কিন্তু সেগুলির সঠিক ব্যবহার করা হয় না। আগামিদিনে এখানে বন্দর-কেন্দ্রীক কিছু করারও সম্ভাবনা নেই। আর সেই কারণেই এই জমিগুলির সদ্ব্যবহার করতে চাইছে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই ভাবনা থেকেই বন্দরের জমিগুলিতে বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁর পরিকল্পনা।
করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে এখন ফের পুরোদমে চাঙ্গা হোটেল-রেস্তোরাঁ শিল্প। আগের তুলনায় নয়া প্রজন্ম হোটেল-রেস্তোরাঁয় অনেক বেশি খরচ করে। আর সেই বাজারটাই কাজে লাগাতে চাইছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই কলকাতার আউট্রাম ঘাটে একটি ক্যাফে রেস্তোরাঁ চালু করা হয়েছে। তবে শুধু কলকাতাই নয়। শহরতলিতেও ভাল রেস্তোরাঁর চাহিদা বাড়ছে। সেই কারণেই ডায়মন্ড হারবার থেকে ফরাক্কা পর্যন্ত হুগলী নদির দুই ধারে থাকা, বন্দরের অব্যবহৃত জমিগুলির ব্যবহার করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। জমিগুলি বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য লিজ দেওয়া হবে। আরও পড়ুন: দিঘায় ‘সমুদ্রের নিচে' সুড়ঙ্গ গড়বে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, পর্যটক টানতে নয়া উদ্যোগ
গঙ্গার দুই পাশের এই এলাকা বেশ জনবহুল। গিয়েছে জিটি রোডের মতো বড় রাস্তাও। সেই কারণে এই এলাকাগুলিতে আর্থিক সমৃদ্ধি যথেষ্ট। ফলে হোটেল ব্যবসার একটি চাহিদা এই অঞ্চলগুলিতে আছে। তাছাড়া এই ধরণে শিল্পের জন্য গঙ্গার নিকটস্থ স্থানগুলি বেশ মনোরম।
কিন্তু প্রাথমিকভাবেই বিপুল টাকা বিনিয়োগকারীদের খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তাই হোটেল বা রিসর্ট চালানোর পরিকাঠামো নিজেরাই তৈরি করে দেবে বলে ভাবনা বন্দর কর্তৃপক্ষের। এরপর বাকিটুকু ছেড়ে দেওয়া হবে বিনিয়োগকারীদের হাতে। তাঁরা ইচ্ছা মতো রেস্তোরাঁ চালাতে পারবেন। দশ বছর ব্যাপী লিজে ইচ্ছা মতো আয় এবং রেস্তোরাঁ আপগ্রেডও করতে পারবেন।
শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান সম্রাট রাহি জানান, 'আপাতত আমরা নুরপুর ও মোয়াপুরে দুইটি স্থান চিহ্নিত করেছি। একেবারে নদীর ধারে এই স্থান হোটেল, রিসর্ট বানানোর জন্য উপযুক্ত। পর্যটকদের এই স্থান পছন্দ হবে।' আরও পড়ুন: Modi Thali: ৫৬ ইঞ্চি মোদীজি থালি, ৪০ মিনিটে খেতে পারলে সাড়ে ৮ লাখ পুরস্কার
নিউজ এইট্টিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, হাওড়ার নপুরে ১১ একর জমি ও বজবজের মোয়াপুরে ২৩ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। শীঘ্রই এর জন্য টেন্ডার প্রকাশ করা হবে।