জয়দীপ ঠাকুর
খারাপ আবহাওয়ার জেরে ফের থমকে গেল বিমানের মাধ্যমে উদ্ধারকাজ। তিস্তার সেই বিধ্বংসী হড়পা বানের পর সাতটা দিন কেটে গিয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে আবহাওয়ার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে।
আধিকারিকদের মতে, বুধবার আরও একটি দেহ মিলেছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৯২। সিকিমের চিফ সেক্রেটারি ভিবি পাঠক জানিয়েছেন, নিখোঁজদের সংখ্যা কমে হয়েছে ৭৯। কারণ দক্ষিণ সিকিমে ৫৭জন নির্মাণ শ্রমিকের খোঁজ মিলেছে। তাঁরা বেঁচে আছেন।
গ্যাংটকের আবহাওয়া দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, লাচেন আর লাচুংয়ের আবহাওয়া এখনও খারাপ। কাল থেকে কিছুটা উন্নতি হতে পারে।
এক আর্মি আধিকারিকের মতে, চিনুক প্লেনে ৪৪জন করে ধরে। তবে ১৫০০ মিটার দৃশ্যমানতা লাগে এই প্লেনের। তবে মেঘের জন্য দৃশ্যমানতা কমে গিয়েছে। এমআই ১৭ বিমানে ২৪ জনকে আনা যায়।
এদিকে লাচেন লাচুন থেকে পর্যটকদের আনতে সেনার চপার ব্যবহার করা হচ্ছে। চিতা সহ অন্যান্য হেলিকপ্টারে করে পাঁচজন করে উদ্ধার করা হচ্ছে। মঙ্গবার পর্যন্ত ৬৫৮জন পর্যটক ও ১১জন স্থানীয় বাসিন্দাকে চপার উদ্ধার করতে পেরেছে।
এসবের মধ্যেই লোহনক হ্রদে ফের হিমবাহ ভেঙে পড়ার ঘটনা হয়েছে বলে খবর। তবে সেটা ঠিক ৪ অক্টোবরের মতো অত ভয়াবহ নয়।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালগারির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর দান শুগার এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, সিকিমের দক্ষিণ লোহনাক লেকে আবার ধস নেমেছে। এতে অল্প জল বেড়েছে। এটা বোঝা যাচ্ছে পলি এখনও আলগা। সামনের সপ্তাহে এমন কিছুটা হবে। নতুন ঢাল তৈরি না হওয়া পর্যন্ত অল্প কিছুটা এমন হবে।
বুধবার বিকালে সিকিম সরকার জানিয়েছিল, মুগুথাং লেকে জল বাড়ছে। তিস্তার ধার থেকে সরে যান। পরে বলা হয়, বৃষ্টির জন্য জল বাড়ছে। আতঙ্কের কিছু নেই।
মঙ্গনের জেলাশাসক হেম কুমার ছেত্রী বলেন, নতুন করে ধসের খবর নেই।
আইআইএসসি বেঙ্গালুরুর বিজ্ঞানী অসীম সাত্তার জানিয়েছেন, লেকে নতুন ধস নামতে পারে। কিন্তু সেটা বড় কিছু হবে না।