জামাই ষষ্ঠীর অনেক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়। দেখা যায় ৪০-৫০ রকম পদ রেঁধে অ্যাপায়ান করা হয়েছে জামাই বাবাজীকে। কিন্তু সেগুলি যেন সবই ফিকে। সংক্রান্তিতে হবু জামাইকে ভালবেসে ৩৬৫ পদ খাওয়ালেন এক শাশুড়ি মা! হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন, বছরের যতগুলি দিন, সেই সংখ্যক পদে অ্যাপায়ন হল জামাই রাজার।
ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলার। তেলুগু সংস্কৃতিতে সংক্রান্তির দিন জামাইকে ভোজ দেওয়াই রীতি। ঠিক আমাদজামাই ষষ্ঠীর মতো।
সেই মতো হবু জামাই সাইকৃষ্ণকে দুপুরে নিমন্ত্রণ করেছিলেন ভেঙ্কটেশ্বরা রাও ও মাধবী। সেদিনই বিয়ে। অনেক আয়োজন হচ্ছে, তা আগেই টের পেয়েছিলেন সাইকৃষ্ণ। কিন্তু তাই বলে ৩৬৫টি পদ হবে, তা আন্দাজ করেননি। খাবার ঘরে ডাকা হতে সেখানে যান তিনি। আর সেই ঘরের দৃশ্য দেখে কার্যত হকচকিয়ে যান সাইকৃষ্ণ।
দেখেন গোটা ঘরজুড়ে সার সার টেবিল। আর যতদূর চোখ যায়, শুধুই খাবার। ঘাবড়ে গিয়ে কথার খেই হারিয়ে ফেলেন হবু জামাই।
হবু শাশুড়ি মাধবী জানিয়েছেন, জামাইয়ের বছরের প্রতিটি দিন ভাল কাটুক, এটাই মনকামনা তাঁর। আর সেই কারণেই বছরের প্রতিটি দিনের মতোই ৩৬৫টি পদের আয়োজন করেছেন তিনি।
মেনু:
মোট ৩০ টি তরকারি ছিল। ভাত, বিরিয়ানি, পোলাও, ফ্রায়েড রাইস ইত্যাদি ভাতের নানান পদ ছিল। মিষ্টিই ছিল ১০০ রকম। তাতে পুরনো স্থানীয় মিষ্টি থেকে হালের কেক-পেস্ট্রি, সবই ছিল। তাছাড়া খেতে খেতে গলা ভেজানোর জন্য ছিল ঠান্ডা ও গরম পানীয়। ছিল ফল, স্যালাড ইত্যাদিও।
সাইকৃষ্ণ পেট পুরেই খেয়েছেন। তবে ৩৬৫ টি পদ তো আর খাওয়া সম্ভব নয়। তবে বেশিরভাগই অল্প অল্প করে চেখে দেখেছেন তিনি। তবে খাবার নষ্ট হয়নি। বাকি খাবার পরিবারের সকলে ভাগ করে খান।
এদিনই বিকেলে সাইকৃষ্ণের সঙ্গে কুণ্ডাভির বিয়ে হয়।