মারপিট করার সময় অণ্ডকোষ টিপে ধরলে সেটাকে খুনের চেষ্টা বলা যাবে না। পরিষ্কার জানিয়ে দিল কর্ণাটক হাইকোর্ট। ট্রায়াল কোর্ট যে রায় দিয়েছিল তার থেকে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে হাইকোর্টের রায়ে। সেখানে ৩৮ বছর বয়সি ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তবে হাইকোর্ট তার সাজার মেয়াদ কমিয়ে সাত বছরের জেল থেকে তিন বছর করে দিয়েছে।
হাইকোর্ট কারণ হিসাবে দেখিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরজনকে খুন করবেন এমন কোনও ইচ্ছা তার ছিল না। আসলে মারপিট করার সময় ব্যাপারটা হয়ে গিয়েছে। এনডিটিভি প্রতিবেদন অনুসারে বিষয়টি জানা গিয়েছে।
আদালত জানিয়েছে, অভিযোগকারী ও অভিযুক্তের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল। সেই ঝগড়া মারপিটের সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি অভিযোগকারীর অণ্ডকোষ টিপে ধরেন। তবে তার মানে এটা প্রমাণ হয় না যে তিনি খুন করার জন্য় এটা করতে চেয়েছিলেন। যদি তার খুন করার ছক থাকত তবে তিনি ধারালো অস্ত্র নিয়ে আসতে পারতেন। জানিয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি অভিযোগকারীর শরীরে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে। এটা থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত। কিন্তু খুন করার ইচ্ছা তার ছিল না। তাহলে তিনি অস্ত্র নিয়ে আসতেন।
বিচারপতি কে নটরাজন তাঁর রায়ের উল্লেখ করেছেন, অন্ডকোষটি শরীরের একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটা টিপে ধরলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাকে হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয়েছিল। এরপর অপারেশন করে তার অণ্ডকোষ বের করতে হয়। তবে তারপরেও বলছি ওই ব্যক্তির খুন করার অভিপ্রায় ছিল না। এটা আইপিসি ৩২৪ ধারার মধ্যে পড়তে পারে।
অভিযোগকারী ওমকারাপ্পার দাবি, গ্রামে মেলা হয়েছিল। নরসিংস্বামীর সামনে নাচছিলেন তারা। সেই সময় পরমেশ্বরাপ্পা বাইকে চেপে আসেন। এরপর ঝগড়া শুরু করে দেন। মারপিটেও শুরু হয়। আর সেই সময় ওমকারাপ্পার অণ্ডকোষ চিপে ধরেন পরমেশ্বরাপ্পা। যন্ত্রণায় চিৎকার করে ওঠেন তিনি। এরপর পুলিশের কাছে খবর যায়। তারপর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তারপর গ্রেফতার করা হয় পরমেশ্বরাপ্পাকে। ট্রায়াল কোর্টের বিচারে তারা কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর ট্রায়াল কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যান পরমেশ্বরাপ্পা। তবে হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, মারপিট করার সময় অণ্ডকোষ টিপে ধরলে সেটাকে খুনের চেষ্টা বলা যাবে না।অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরজনকে খুন করবেন এমন কোনও ইচ্ছা তার ছিল না।