মল্লিকা সোনি
শ্রীলঙ্কার বিতাড়িত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে মার্কিন নাগরিকত্ব ফের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। একটি রিপোর্টে তেমনটাই দাবি করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, তিনি কোনও দেশেই সেভাবে আশ্রয় পাননি। তবে কি এবার কার্যত বাধ্য হয়েই তিনি আমেরিকায় থাকতে চাইছেন?
সানডে টাইমসের রিপোর্ট অনুসারে গতবছর জুলাই মাসে তিনি তিনি শ্রীলঙ্কায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। দুমাস বাদে তিনি ফিরে আসেন। তবে মার্কিন সরকার এখনও তাঁর অনুরোধের অনুমোদন করেনি বলে খবর।
এদিকে ২০১৯ সালে তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। কারণ দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য শ্রীলঙ্কায় কেউ আবেদন করতে পারেন না। এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি ফের মার্কিন নাগরিকত্ব ফিরে পেতে চাইছেন। কার্যত তিনি একাধিক দেশে আশ্রয় চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তা পাননি বলে মনে করা হচ্ছে। এরপরই তিনি আমেরিকার দ্বারস্থ হলেন।
গত বছর ১৩ জুলাই সরকার বিরোধী আন্দোলনে চাপে পড়ে দেশ থেকে পালান গোতাবায়া। এরপর তিনি মলদ্বীপে চলে যান। সেখান থেকে তিনি থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরেও যান।
এদিকে সাম্প্রতিক রিপোর্ট উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁর আইনজীবীর তরফে মার্কিন সরকারকে আবেদন করা হয়েছে তাঁর মার্কিন নাগরিকত্বকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে তিনি এই নাগরিকত্বকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে তাঁর আবেদন এখনও অনুমোদন করা হয়নি বলে খবর।
এদিকে সূত্রের খবর, শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও তাঁর পরিবার বর্তমানে ছুটি কাটাতে দুবাইতে রয়েছেন। রিপোর্টে তেমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। এর সঙ্গেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এই আবেদন পুরোটাই একটি আইনগত প্রক্রিয়া। আর পুরোটাই সময় সাপেক্ষ।
এদিকে এর আগে শ্রীলঙ্কায় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ। ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তাঁর বাসভবনের দখল নিয়েছিল জনতা। প্রতিবাদ আন্দোলনে মুখর হয় শ্রীলঙ্কা। সেখানকার ভেঙে পড়া অর্থনীতির জন্য রাষ্ট্রনেতাদের দায়ী করে শুরু হয় আন্দোলন।
অ্যান্টভ-৩২ সামরিক বিমানে করে দেশ ছেড়েছিলেন গোতাবায়া। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং গোতাবায়ার দেহরক্ষী। এর আগে সামরিক বিমানে করে ভারতে অবতরণের অনুমোদন পাননি গোতাবায়া। এই আবহে পরে তিনি মালদ্বীপে পৌঁছান। মালদ্বীপে অবতরণের পর গোতাবায়াকে পুলিশ এসকর্টে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এবার সেই গোতাবায়া তাঁর পুরানো মার্কিন নাগরিকত্ব ফিরে পেতে চাইছেন।