ফের বন্দে ভারতে পাথর ছোঁড়া হল। রৌরকেল্লা থেকে ভুবনেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনের জানালায় পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ। একেবারে এক্সিকিউটিভ ক্লাসকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। ওড়িশার মেরামান্ডালি ও বুধাপাঙ্ক স্টেশনের মাঝে যখন ট্রেনটি ছিল তখনই পাথর ছোঁড়া হয়। ২৬ নভেম্বরের ঘটনা। তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার বন্দে ভারতকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়েছে।
এদিকে গোটা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে। আরপিএফ ও জিআরপিকে এনিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়েই অ্য়াসিস্ট্যান্ট সিকিউরিটি কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিক দ্রুত যান।
এদিকে স্থানীয় পুলিশকেও এনিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এই ঘটনায় কারা জড়িত থাকতে পারে তা নিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এদিকে ইতিমধ্য়েই রেলের পক্ষ থেকে এনিয়ে নানা সময়ে সতর্ক করা হয়েছে। তবে আশার কথা একটাই, যাত্রীরা কেউ আহত হননি।
গত অগস্ট মাসে ভোপাল থেকে দিল্লিগামী বন্দে ভারত লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে ২০ বছর বয়সি এক যুবক। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের মরেনা জেলায় ঘটে । এর জেরে বন্দে ভারতের জানলার কাচ ভেঙে যায়। ট্রেনটি যখন বানমোর স্টেশনের পাশে ছিল, তখনই নাকি সেটিকে লক্ষ্য করে এই পাথর ছোঁড়ে সেই যুবকটি। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অবশ্য এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে চিহ্নিত করা হয়। এবং আরপিএফ গিয়ে সেই যুবককে গ্রেফতার করে।
বর্তমানে দেশের প্রায় সব প্রান্তেই ২০টিরও বেশি রুটে চলছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই দেশে মোট ৭৫টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। উত্তর ভারতের উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, হিমাচাল হোক, কি দক্ষিণের কেরল, কর্ণাটক, অন্ধ্র, তেলাঙ্গনা বা পূর্বের ওড়িশা, বাংলা, এই সব জায়গাতেই চালু হয়েছে বন্দে ভারত। এদিকে বন্দে ভারত চালু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় উঠে এসেছে ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা। যার জেরে বারবার কাচ ভেঙেছে বহু ট্রেনের। এর জেরে অনেক টাকার লোকসানও হয়েছে রেলের।
উল্লেখ্য, বন্দে ভারতে এক একটি জানলার কাচের দাম প্রায় ১ লাখ টাকা করে। গত বাদল অধিবেশনে সংসদে রেলমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বন্দে ভারতের কাচ ভাঙার ঘটনায় রেলের মোট ক্ষতি হয়েছে ৫৫.৬০ লাখ টাকার। এদিকে ভবিষ্যতে যাতে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ওপর এই ধরনের পাথর ছোঁড়ার ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে 'অপারেশন সাথী' কার্যকর করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং জেলা জিআরপির সঙ্গে মিলে এই অপারেশন চালাচ্ছে আরপিএফ।