ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যায় দোষী সাব্যস্ত ৬ জনকে মুক্তির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই ছয় জনের মধ্যে রয়েছে নলিনী ও আরপি রবিচন্দ্রণ। এরা সকলেই রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে যাবজ্জীবনের সাজা প্রাপ্ত। উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের ২১ মে শ্রীপেরুমবুদুরে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার দায়ে এই ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালত তাদের সাজা ঘোষণা করে। তারপর ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্ট ৬ জনকে সাজা মুক্তির ঘোষণা করেছে।
উল্লেখ্য, তামিলনাড়ুর পেরুমবুদুরে ২১ মে ১৯৯১এর অভিশপ্ত দিনে সভা করছিলেন রাজীব গান্ধী। সেই সময়ই তাঁর ওপর আত্মঘাতী বিস্ফোরণ করা হয়। জানা যায়, যে ব্যক্তি এই বিস্ফোরণ ঘটান তিনি হলেন থেনিমোরি রাজারত্নম। ঘটনায় কাঠগড়ায় নাম উঠে আসে এলটিটিই বা লিবারেশন অফ তামিল ইলাম সংগঠনের। যারা শ্রীলঙ্কায় কার্যত ত্রাস হয়ে উঠেছিল। শ্রীলঙ্কায় কার্যত তামিলদের এই সংগঠন ক্রমেই নেতিবাচক কারণে উঠে আসতে থাকে খবরের শিরোনামে।
এদিকে, দক্ষিণ ভারতে ১৯৯১ সালের ভোটের জন্য প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী রাহুল গান্ধী। ততদিনে গান্ধী পরিবার দেখেছেন ইন্দিরা গান্ধীর ভয়ানক হত্যাকাণ্ড। অন্যদিকে, তামিলনাড়ুতে রাজীব যখন প্রচারে মত্ত ছিলেন তখনই ভারতের শান্তি বাহিনী শ্রীলঙ্কায় নিজের অপারেশনে ছিল। সেই সময়ই এলটিটিইর নলিনী সহ একাধিক সদস্য রাজীব হত্যাকাণ্ডের অংশ হয়ে ওঠে। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। উঠে আসে সাজায় ক্ষমাপ্রদর্শনের ইস্যু। তাতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হয় তাদের। এরপরই ১১ নভেম্বর ২০২২ সালে ভারতের শীর্ষ আদালত ৬ জনকে এই মামলায় সাজা মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে।