বিয়ে ডিভোর্স, উত্তরাধিকার সূত্রে কিছু পাওয়া সহ নানা ক্ষেত্রে আইনের ক্ষেত্রে যাতে লিঙ্গভেদ ও ধর্মীয় বিভেদ না থাকে সেজন্য় সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন এক আইনজীবী।তিনি আবেদন করেছিলেন এব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য় যেন আদালত কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট এই আবেদনের ব্যাপারে বিশেষ কিছু শুনতে চায়নি। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, এভাবে আইন তৈরি করার জন্য় তারা সংসদকে নির্দেশ দিতে পারে না।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পিএস নরসিংহ ও বিচারপতি জেবি পাড়িওয়ালার বেঞ্চের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় গোটা বিষয়টি আইনসভার আওতায় পড়ছে। এই আবেদনের শুনানি চালিয়ে নিয়ে যেতে চায়নি আদালত।
বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, এই ইস্যুটা পুরোপুরি আইনসভার আওতাভুক্ত। আর আদালত পার্লামেন্টকে এনিয়ে নির্দেশ দিতে পারে না।
প্রসঙ্গত আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় এই আবেদন করেছিলেন। তিনি আবেদন করেছিলেন একাধিক সামাজিক সমস্যা নিয়ে যেন লিঙ্গ ও ধর্মনিরপেক্ষ আইন থাকে। কেন্দ্র যাতে এই আইন তৈরি করে সেকারণে তিনি সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেন। এনিয়ে তিনি মোট পাঁচটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন। তিনি যে বিষয়গুলির উপর আলোকপাত করেছিলেন সেগুলি হল, ডিভোর্স, সন্তান দত্তক নেওয়া, সন্তানের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করা, কোনও সম্পত্তির উত্তারধিকারপ্রাপ্ত হওয়া, বিয়ের বয়স ঠিক করা। এরকম একাধিক বিষয়কে তিনি উল্লেখ করেন।
তবে আদালত অবশ্য এনিয়ে শুনানি চালিয়ে যেতে রাজি হয়নি। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে কোর্ট এনিয়ে বিশেষ কিছু করতে পারেন। কারণ গোটা বিষয়টিই পার্লামেন্টের উপর নির্ভরশীল। আর কোনও আইন প্রনয়ণের ব্যাপারে পার্লামেন্টকে আদালত নির্দেশ দিতে পারে না।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিবাহের ক্ষেত্রে ধর্ম ভেদে একাধিক ধরনের আইন রয়েছে। আবার ডিভোর্সের ক্ষেত্রেও নানা ধরনের ভেদ রয়েছে। অন্য়দিকে নারীদের অধিকার রক্ষার বিষয়টি বিশেষভাবে নজর রাখা হয় আইন প্রনয়ণের ক্ষেত্রে। তবে ওই আইনজীবী অবশ্য় লিঙ্গ ও ধর্ম নিরপেক্ষ আইন চেয়েছিলেন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup