পুলিশ, সিবিআই, সিআইডির মতো তদন্তকারী সংস্থাগুলি কোনও মামলার চার্জশিট সরাসরি কোনও ওয়েবসাইটে আপলোড করতে পাারবে না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মূলত বলা হয়েছে, পাবলিক প্ল্যাটফর্ম, যেগুলির মাধ্যমে সহজেই জনতার কাছে কোনও তথ্য চলে যায়, সেখানে কোনও মামলার চার্জশিট পেশ করা যাবে না।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমআর শাহ ও সিটি রবিকুমারের একটি বেঞ্চ এদিন সমাজকর্মী ও সাংবাদিক সৌরভ দাসের দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলা খারিজ করার সময় চার্জশিট নিয়ে ওই বড় বার্তা দেয়। এর আগে ‘ইউথ বার অ্যাসোসিয়েশন কেস’ এ কোর্টের নির্দেশ যায় পুলিশের কাছে, যাতে ওই মামলায় এফআইআরের কপি আপলোড করা হয় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। তবে ধর্ষণ ও যৌন অত্যাচারের মতো ঘটনায় এভাবে তা আপলোড করা যাবে না বলে জানানো হয় শীর্ষ আদালতের তরফে। কোর্ট জানিয়েছে, সেবার এফআইআর আপলোড করা হয়েছিল, যাতে নিরীহ অভিযুক্তরা হেনস্থার শিকার না হয়। তবে সেই নির্দেশকে চার্জশিট পর্যন্ত গড়িয়ে নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, এই মামলায় মামলা দায়েরকারী দাবি করেছিলেন যে ‘চার্জশিট’ একটি ‘পাবলিক ডকুমেন্ট’, তাই সেটিকে জনতার কাছে আসতে যাতে দেওয়া হয়। তখনই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় যে, চার্জশিট কোনও পাবলিক ডকুমেন্ট নয়। এক্ষেত্রে মামলাকারীর তরফের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ, ১৮৭২ সালের এভিডেন্স অ্যাক্ট-এর সেকশন ৭৪-এর প্রসঙ্গ তোলেন। তবে সেই বিষয়টিকে বোঝার ভুল বলে বার্তা দেওয়া হয়েছে।
আপাতত ‘ইউথ বার অ্যাসোসিয়েশন কেস’-এর রায় সংরক্ষিত রেখেছে কোর্ট। মামলার শুনানিতে কোর্ট বলছে, যদি চার্জশিট সহজেই সকলের হাতের কাছে এসে যায়, তাহলে তার অপব্যবহার হবে। এক্ষেত্রে বিজয়মদনলাল কেস নিয়েও বক্তব্য রাখে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি শাহ বলছেন, ‘চার্জশিট সকলকে দেওয়া যাবে না।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup