মুরলী কৃষ্ণন
একটি বেঞ্চে একই ধরনের মামলা চলছে। তা সত্ত্বেও আদালত অবমাননার আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সাংবাদিক এন রাম, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ শৌরি এবং আইজীবী প্রশান্ত ভূষণ যে আবেদন দাখিল করেছেন, তা কেন অন্য বেঞ্চে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়ে রেজিস্ট্রি আধিকারিকদের ব্যাখ্যা চাইল সুপ্রিম কোর্ট। একথা জানিয়েছেন কয়েকজন আধিকারিক।
সুপ্রিম কোর্ট এবং প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে মন্তব্যের অভিযোগে প্রশান্ত ভূষণের বিরুদ্ধে দুটি মামলায় আদালত অবমাননার কার্যধারা চলছে। গত ৪ এবং ৫ অগস্ট সেগুলির রায়দান স্থগিত রেখেছে বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ। নাম গোপন রাখার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, ‘আদালত অবমাননা আইনের নির্দিষ্ট ধারার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করার বিষয়টি তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে আবারও একবার ভুল করেছে রেজিস্ট্রি।’
গত ৬ অগস্ট সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে যে তালিকা আপলোড করা হয়েছিল, তাতে জানানো হয় যে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি কে এম জোসেফের বেঞ্চে সেই আবেদন তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আগামী ১০ অগস্ট সেই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল।
তবে ব্যাখ্যা তলবের কয়েক ঘণ্টা পরই সংশোধিত তালিকায় পরিবর্তন করা হয়েছে। নয়া তালিকা অনুযায়ী, সেই মামলাটি বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ শুনবে না। ওই ব্যক্তি বলেন, ‘এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।’
বিষয়টি নিয়ে প্রশান্ত ভূষণের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে বর্ষীয়ান আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ের বক্তব্য, ‘সুপ্রিম কোর্টের রোস্টারের মাস্টার হলেন প্রধান বিচারপতি। এটা অপরিষ্কার যে প্রধান বিচারপতি নাকি অন্য কোনও বিচারপতি ব্যাখ্যা তলব করেছেন। রোস্টার মেনেই যেতে পারেন রেজিস্টির আধিকারিক। যা সাংবিধানিক বৈধতার প্রশ্নগুলি একটি বেঞ্চে পাঠায়, আবার আদালত অবমাননার নির্দিষ্ট কোনও বিষয় অপর কোনও বেঞ্চ শোনে। নিশ্চিতভাবে বিষয়টি এরকম যে আদালতের অবমাননার আওতাভুক্ত সব মামলাই শুধুমাত্র একটি বেঞ্চে পাঠানো হবে।’