সুপ্রিম কোর্ট এর আগে চিন ফেরত ২০১৫-২০ ব্যাচের মেডিক্যাল পড়ুয়াদের ভারতে ট্রেনিং সম্পন্ন করে লাইসেন্স পাওয়ার অনুমোদন দিয়েছিল। তবে ২০১৬-২১ ব্যাচের চিন ফেরত পড়ুয়াদের ট্রেনিং করতে দিচ্ছে না কেরল এবং তামিলনাড়ু। এই আবহে মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই পরিস্থিতিতে চিন ফেরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চাইল সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি ভিআর গভাই এবং বিচারপতি বিক্রম নাথ। আবেদনকারীদের দাবি, ২০১৫-২০ ব্যাচের মেডিক্যাল পড়ুয়ারা কোভিডের কারণে চিনে ফিরে গিয়ে তাদের পড়াশোনা শেষ করতে পারেনি। সেই কারণেই শীর্ষ আদালত তাদের ভারতেই ট্রেনিং সম্পন্ন করার অনুমতি দিয়েছিল। ২০১৬-২১ ব্যাচের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য হওয়া উচিত। কারণ এই একই পরিস্থিতির শিকার হয়ে নিজেদের পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি এই ব্যাচের পড়ুয়ারা।
উল্লেখ্য, কোভিড অতিমারির শুরু থেকেই বাইরের জগতের থেকে নিজেদের ছিন্ন করে দিয়েছিল চিন। এখনও সেদেশে লকডাউন চলছে। এই আবহে চিনা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়া ভারতীয় পড়ুয়ারা সেদেশে ফিরতে পারেনি। এই আবহে তাদের অনলাইনে পড়াশোনা শেষ করতে হয়েছে। তবে ভারত সরকার জানিয়ে দিয়েছিল যে অনলাইনে মেডিক্যাল পড়াশোনার কোনও দাম নেই দেশে। এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েন চিন ফেরত পড়ুয়ারা। এই আবহে এর আগে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তার নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম বেঞ্চ ২০১৫-২০ ব্যাচের চিন ফেরত মেডিক্যাল পড়ুয়াদের দেশেই ট্রেনিং করার অনুমতি দেয়।
এদিকে ২০২১ ব্যাচের পড়ুয়ারা প্রায় দেড় বছর অনলাইনে পড়াশোনা করেছেন। এই আবহে কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তাঁরা ফরেন গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এক্সামিনেশনে বসার যোগ্য নন। তাহলে তারা প্র্যাক্টিসের লাইসেন্সও পাবেন না। অপরদিকে ট্রেনিং নিয়ে তামিলনাড়ুর বক্তব্য, এই পড়ুয়ারা ভারতে সুযোগ না পেয়ে বিদেশে গিয়েছে পড়তে। তাই ভারতীয় রোগীদের দেখার যোগ্য এরা নন। এবং কেন্দ্রের তরফে উপস্থিত হওয়া অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য্য ভাটি বলেন, ‘এটা তাদের (চিন ফেরত মেডিক্যাল পড়ুয়া) প্র্যাক্টিসের লাইসেন্স না হয়ে কাউকে হত্যা করার লাইসেন্সও হতে পারে।’ এই সব যুক্তি শুনে বিচারপতি গভাই বলেন, ‘এই সমস্যাটিকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখা উচিত’। এদিকে চিন ফেরত অনলাইনে পড়াশোনা শেষ করা ডাক্তারি পড়ুয়াদের নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য শুক্রবার পর্যন্ত সময় দেয় শীর্ষ আদালত।