সরকারি চাকরি বা অন্য অনেক পরীক্ষার ক্ষেত্রেই কেন্দ্রের পৌঁছতে ভরসার নাম রেল। তবে অনেক সময়ই দেখা যায় যে ট্রেন দেরি করায় পরীক্ষা কেন্দ্রে দেরি করে পৌঁছেছেন পরীক্ষার্থী। তবে শুধু পরীক্ষা নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও ট্রেন দেরি করে গন্তব্যে পৌঁছানোর খেসারত দিতে হয় যাত্রীদের। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা হয়েছিল। তাতে রেলকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ দানিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে যায় রেল। সেই মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল যে যদি কেউ প্রমাণ করে যে ট্রেন দেরি হওয়ার জন্য তাঁর লোকসান হয়েছে, সেই ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রেলকে। তবে যদি এমন কোনও কারণে ট্রেন দেরি হয় যা রেলের নিয়ন্ত্রণের বাইরে, তাহলে ছাড় দেওয়া হবে রেলকে।
এর আগে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতও ট্রেন দেরির প্রেক্ষিতে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। ট্রেন দেরি করে গন্তব্যে পৌঁছনয় লোকসানের মুখোমুখি হওয়ার অভিযোগ জানিয়ে এক ব্যক্তি মামলা করেছিল উত্তর-পশ্চিম রেলের বিরুদ্ধে। সেই প্রেক্ষিতে অভিযোগকারীকে ট্যাক্সির খরচ বাবদ ১৫ হাজার, বুকিং খরচ বাবদ ১০ হাজার এবং মানসিক যন্ত্রণার জন্যে ৫ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। তবে এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারতীয় রেল।
সেই মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমআর শাহ এবং বিতারপতি অনিরুদ্ধ বসুর অবসরকালীন বেঞ্চ ভারতীয় সংবিধানের ১৩৬ নম্বর ধারার উল্লেখ করে রেলকে ট্রেন দেরিতে চলার কারণ দর্শআতে বলে। যদিও রেলের তরফে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটির যুক্তি ছিল যে রেলের নিয়ম ১১৪ এবং ১১৫ অনুযায়ী ট্রেন দেরিতে চললে তার দায় রেলের নয়। তবে এই যুক্তি মেনে নেননি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল যে যদি কেউ প্রমাণ করে যে ট্রেন দেরি হওয়ার জন্য তাঁর লোকসান হয়েছে, সেই ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রেলকে। তবে যদি এমন কোনও কারণে ট্রেন দেরি হয় যা রেলের নিয়ন্ত্রণের বাইরে, তাহলে ছাড় দেওয়া হবে রেলকে।