সোমবার শীতকালীন অধিবেশনের বাকি অবশিষ্ট দিনের জন্য রাজ্যসভা থেকে নিলম্বিত হওয়া বিরোধী ১২ জন সংসদ সদস্য বুধবার থেকে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির সামনে বিক্ষোভে বসবেন। এদিন রাজ্যসভা থেকে বিরোধীরা ওয়াকআউট করার পর রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খার্গের ঘরে বৈঠকে বসেন সাংসদরা। সেখানেই বিক্ষোভ প্রদর্শন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও বিরোধীদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূলের কোনও সাংসদ।
এজিকে আজও গান্ধী মূ্র্তির সামনে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী সাংসদরা। তবে এখানেও কংগ্রেসের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে পৃথক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদরা। এদিকে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপাল বলেন,‘রাজ্যসভার ১২ জন সাংসদকে বরখাস্তের প্রতিবাদে আমরা বাকি দিনের জন্য লোকসভার কার্যক্রম বয়কট করেছি।’ তবে সংসদ বয়কটের পথে হাঁটেনি তৃণমূল কংগ্রেস।
আর এই গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে বিঁধে রাহুল গান্ধী এদিন টুইট করে লেখেন, ‘কেন ক্ষমা চাইব? সংসদে জনগণের সমস্যা উত্থাপন করায়? একদম না!’উল্লেখ্য, এদিন রাজ্যসভায় কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খার্গে চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন যাতে নিলম্বিত সাংসদদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হয়। এর প্রেক্ষিতে নাইডু জানিয়েছিলেন, নিলম্বিত সাংসদরা ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চাইলে সাসপেনশন প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করে যেতে পারে। তবে বিরোধীরা কোনও ভাবেই ক্ষমা চাওয়ার পক্ষে নয়। এরপর বিরেধী সাংসদরা ওয়াকআউট করেন রাজ্যসভা থেকে।