কেন্দ্রের তরফে বন্ধ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা। এই আবহে কয়েকদিন আগেই ওড়িশার তরফে বিনামূল্যে শস্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার সেই একই পথে হেঁটে বিনামূল্যে অন্ন সরবরাহ জারি রাখার ঘোষণা করল আরও এক রাজ্য। দাবি করা হচ্ছে, এতে করে লাভবান হতে চলেছে ৯১ লক্ষ মানুষ।
1/5সম্প্রতি তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে কেন্দ্রের তরফে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার প্রকল্প বন্ধ করা হলেও তাঁর সরকার গরিবদের বিনামূল্যে অন্ন সরবরাহ জারি রাখবে। এই আবহে তেলাঙ্গানা রাজ্যে দারিদ্র্য সীমার নীচে থাকা প্রায় ৯১ লক্ষ মানুষকে মাসে ৫ কেজি চাল দেওয়া হবে বিনামূল্যে। আগামী এক বছর এই প্রকল্প জারি থাকবে। এই মাস থেকেই শুরু হচ্ছে এই চাল বিতরণ।
2/5সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আজ শনিবার, ৭ জানুয়ারি থেকে বিপিএল কার্ধধারকদের জন্য বিনামূল্যে চাল বিতরণ শুরু হবে। তেলাঙ্গানায় ১.৯১ কোটি বিপিএল গ্রাহকরা কেন্দ্রের থেকে বিনামূল্যে ৫ কেজি শস্য পেয়ে আসছিলেন এতদিন। এর মধ্যে প্রতি মাসে ১.৭৬ কোটি NFS কার্ডধারক এবং ১.৫৫ লাখ অন্ত্যোদয় আন্না যোজনা কার্ড হোল্ডার রয়েছেন। যদিও কেন্দ্রের সর্বশেষ নির্দেশ অনুসারে, বিনামূল্যে চাল সরবরাহ প্রকল্পটি এই বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। তবে আদে যেখানে ১০ কেজি শস্য পাচ্ছিলেন অনেকে, তা এখন নেমে পাঁচ কেজি হয়েছে। তবে তেলাঙ্গানায় এবার দারিদ্র্য সীমার নীচে থাকা ব্যক্তিরা ফের ১০ কেজি করেই চাল পাবেন।
3/5এর আগে ১৮৫ কোটি টাকা ব্যয় করে বিনামূল্যে পাঁচ কেজি অন্ন প্রদান করার ঘোষণা করেছিল ওড়িশা সরকারও। আরও এক বছরের জন্য ৫ কেজি করে খাদশস্য বিনামূল্যে মিলবে বলে জানিয়েছে নবীন পট্টনায়েকের সরকার। গত ২৮ মাস ধরে ওড়িশা সরকার অতিরিক্ত চাল-ডাল প্রদান করেছে। সেই সঙ্গে ১,০০০ টাকা নগদ সুবিধাও প্রদান করা হয়েছে দুই দফায়।
4/5প্রসঙ্গত, গত ১ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা বন্ধ হয়েছে। এর ফলে প্রায় ৮১ কোটি সুবিধাভোগী অতিরিক্ত ৫ কেজি বিনামূল্যের খাদ্যশস্য আর পাবেন না। জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন (NFSA) এর অধীনে প্রত্যেক সুবিধাভোগী ৫ কেজি করে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য পাচ্ছিলেন। গত ২ বছর ধরে ৮১ কোটি ভারতীয় ১০ কেজি করে খাদ্যশস্য পাচ্ছিলেন। এদিকে এখন সেটি হঠাৎ কমে ৫ কেজিতে নেমে এসেছে।
5/5জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় আপাতত প্রতি মাসে মাথাপিছু পাঁচ কিলোগ্রাম খাদ্যশস্য প্রদান করা হয়। প্রতি কেজিতে দাম পড়ে দুই থেকে তিন টাকা। এক কেজি চালের দাম তিন টাকা পড়ে। এক কেজি গমের জন্য দু'টাকা দিতে হয়। অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার আওতায় থাকা পরিবারগুলিকে মাসে ৩৫ কেজি খাদ্যশস্য প্রদান করা হয়। এবার এর মধ্যে পাঁচ কেজি খাদ্যশস্য বিনামূল্যে প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।