বিভিন্ন ধরনের চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কেন্দ্রের। তা সত্ত্বেও চালের দাম বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় চালের দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ করল কেন্দ্র সরকার। এবার থেকে চাল এবং ধান কতটা মজুত রয়েছে তা খুচরো বিক্রেতা থেকে শুরু করে পাইকারি বিক্রেতা, ব্যবসায়ী, বড় চেইন খুচরো বিক্রেতা, প্রসেসর এবং চাল কল মালিকদের বাধ্যতামূলকভাবে জানাতে হবে। প্রতি শুক্রবার সরকারের নির্দিষ্ট পোর্টালে এই সংক্রান্ত তথ্য আপলোড করতে হবে। এর পাশাপাশি চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার আরও ঘোষণা করেছে, যে আগামী সপ্তাহে ‘ভারত’ ব্র্যান্ডের অধীনে প্রতি কেজিতে ২৯ টাকা ভর্তুকি মূল্যে চাল বিক্রি শুরু করবে।
আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতির পরেই সতর্ক রাজ্য, রাইস মিলগুলিতে কড়া নজরদারির নির্দেশ
কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিব সঞ্জীব চোপড়া জানান, এখনও পর্যন্ত সরকারের প্রথম লক্ষ্য হল চালের দাম কমানো নিশ্চিত করা। বিভিন্ন জাতের চাল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও গত এক বছরে খুচরো বাজারে চালের দাম ১৪.৫ শতাংশ এবং পাইকারি মূল্য ১৫.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি খাদ্যশস্যের উপর সরকারের রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সমস্ত জল্পনাও উড়িয়ে দিয়েছেন। খাদ্য মন্ত্রক বলেছে, যে সমস্ত সংস্থাকে ভাঙা চাল, নন-বাসমতি সাদা চাল, সিদ্ধ চাল, বাসমতি চাল এবং কত ধান মজুত থাকছে তা ঘোষণা করতে হবে। এই সংস্থাগুলি ৭ দিনের মধ্যে এবিষয়টি জানাবে। তাদের বাজারে স্টক ছেড়ে দিতে হবে। এরফলে দাম কমবে।
তিনি জানান, দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ কনজ্যুমারস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড এই দুটি সমবায়ের মাধ্যমে খুচরো বাজারে প্রতি কেজি ২৯ টাকায় ভর্তুকিযুক্ত ‘ভারত’ বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি জানান, আগামী সপ্তাহ থেকে ৫ কেজি এবং ১০ কেজির প্যাকেটে ভারত চাল বাজারে পাওয়া যাবে। প্রথম পর্যায়ে, সরকার খুচরো বাজারে বিক্রির জন্য ৫ লক্ষ টন চাল বরাদ্দ করেছে। সরকার ইতিমধ্যেই ভারত ব্র্যান্ডের আটা প্রতি কেজি ২৭.৫০ টাকা এবং ভারত ডাল (চানা) প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি করছে।
এছাড়া গুজব দূর করার করার জন্য চোপড়া জানান, শীঘ্রই যে কোনও সময় চাল রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই। তিনি জানান, দাম কমার আগে পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে। দাম কমানোর জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সচিব বলেন, চাল ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।