ট্রেনে ছিনতাইবাজকে ধরে খবরের শিরোনামে বর্ণপুর হীরাপুর থানা এলাকার শান্তি নগরের বাসিন্দা সুমনা বর্মণ। ঝাড়খণ্ডের মধুপুরে নিজের বনের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফিরছিলেন সুমনা। সেই সময় ট্রেনে তাঁর পার্স টান দিয়ে পালায় এক চোর। সেই চোরকে ধাওয়া করেন সুমনা। সেই পার্সে ছিল তাঁর মঙ্গলসূত্র। এদিকে মঙ্গলসূত্র চোর চলন্ত ট্রেন দিয়ে লাফ দেয়। তার পিছে পিছে সুমনাদেবীও চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দেন। অবশেষে অন্যান্য যাত্রীদের সাহায্যে সেই মঙ্গলসূত্র চোরকে ধরতে সক্ষম হন সুমনাদেবী। পরে সেই চোরকে আরপিএফ-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে ০৩৫৬২ বৈদ্যনাথধাম-আসানসোল মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনে ঘটনাটি ঘটে। সুমনাদেবী সেই ট্রেনে করে আসানসোলে ফিরে যাচ্ছিলেন।
জানা গিয়েছে, কাশীটাণ্ড স্টেশন থেকে ট্রেন চালু হতেই এক চোর সুমনাদেবীর পার্স ছিনিয়ে নিয়ে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেয়। এর পরেই সেই মহিলা চিৎকার শুরু করেন। ছিনতাইকারীর পিছন পিছন চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে কাশীটাণ্ড স্টেশনে নেমে যান সুমনাদেবী। হট্টগোল শুনে সেখানে উপস্থিত লোকজন চোরকে ধরে ফেলে। তার কাছ থেকে পার্স উদ্ধার করে তারা। তবে দেখা যায় পার্সটি খালি। এদিকে সুমনাদেবী দাবি করেন, পার্সে নগদ ৬৫০০ টাকা ও একটা মঙ্গলসূত্র ছিল। এরপর জামতারা আরপিএফকে এই তথ্য দেওয়া হয়। খবর পেয়ে এএসআই জয়ন্ত রাই, হেড কনস্টেবল মহম্মদ আসলাম এবং কনস্টেবল সুরজ যাদব পৌঁছান ঘটনাস্থলে। জিজ্ঞাসাবাদে চোর জানায় তার সাথে আরও দুই সহযোগী ছিল। তাদেরই সে পার্স থেকে নগদ ৬৫০০ ও একটি মঙ্গলসূত্র বের করে দিয়ে দেয়।
আরপিএফ জানিয়েছে, ধৃত চোরের নাম মঙ্গল কোল। সে দেওঘর জেলার জাসিডিহ থানার অন্তর্গত মথুরাপুর তিলাইয়া গ্রামের বাসিন্দা। এদিকে নির্যাতিতা মহিলা যাত্রীর আবেদনের ভিত্তিতে মধুপুর জিআরপি থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ধৃত চোরকে রেলওয়ে পুলিশ মধুপুর জেল হাজতে পাঠিয়ে দিয়েছে। অপর দুই অভিযুক্তকে খুঁজছে রেলওয়ে পুলিশ। এদিকে ছিনতাইকারীর থেকে ভয় না পেয়ে যেভাবে সুমনাদেবী তাকে ধাওয়া করে, তাতে তাঁর প্রশংসা হচ্ছে। তবে তাঁর খোয়া যাওয়া মঙ্গলসূত্র এবং নগদ টাকা এখনও উদ্ধার হয়নি।