শ্রীলঙ্কায় বেড়াতে গিয়ে এক ব্যক্তির স্ত্রী, পুত্র ও শ্বশুর পথ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন। সেই দুর্ঘটনার পরে ট্রাভেল এজেন্সি থমাস কুক ও রেড অ্যাপেলের বিরুদ্ধে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে গিয়েছিলেন মৃত মহিলার স্বামী। এবার ক্রেতা সুরক্ষা ফোরাম ওই ব্যক্তিকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের ঘটনা। এনডিটিভির অ্যাংকর ও প্রাক্তন সাংবাদিক কানুপ্রিয়া সায়গলের মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর সন্তান শ্রেয়া সায়গল ও কানুপ্রিয়ার বাবা বিখ্যাত লেখক গঙ্গা প্রসাদ বিমলেরও মৃত্যু হয়। কলম্বোতে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের। তখন তাঁর স্বামী যোগেশ সায়গল ও ঐশ্বর্য সায়গল আহত হয়েছিলেন। পরে তাঁরা ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে আদালতে যান।
ফোরাম তার নির্দেশে বলেছে, যে গাড়ি চালককে নেওয়া হয়েছিল তার ক্ষেত্রে গাফিলতি ছিল। সেটা ট্রাভেল এজেন্সির ত্রুটি। তারা কেবলমাত্র বুকিং করে দিয়েই দায় এড়িয়ে যাবে এমনটা হতে পারে না।
সায়গল পরিবার থমাস কুকের বিরুদ্ধে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে গিয়েছিল। তারা ৮.৯৯ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছিল বলে খবর।
তিনি অভিযোগে জানিয়েছিলেন, আমি শ্রীলঙ্কায় ভর্তি ছিলাম। দিল্লিতে আমার স্ত্রীর শেষকৃ্ত্য হয়েছিল। সেখানে পর্যন্ত থাকতে পারিনি। তাঁর মেয়ের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে গিয়েছে। ভালো করে হাঁটতে পারে না। কথা বলতে পারছে না। নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে। ভালো করে ঘুমোতে পারে না। চিরস্থায়ী ক্ষতি হয়ে গিয়েছে।
তবে ফোরাম জানিয়েছেন ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সেটা যৌথভাবে দিতে পারে Travel agencies। তবে তিন মাসের মধ্যে দিতে হবে। সেটা দিতে দেরি করলে আরও ১০ লাখ টাকা দিতে হবে।
কার্যত বেড়াতে যাওয়ার জন্য একাধিক ট্যুর এজেন্সি ব্যবস্থা করে দেয়। কিন্তু ঘর ঠিক করে দিয়ে, গাড়ি ঠিক করে দিয়েই যে তাদের সব দায় মিটে যায় এমনটা নয়। কতটা পরিষেবা পেলেন পর্যটকরা সেটাও তাদের দেখতে হয়। তাঁদের সুরক্ষার উপরেও নজর রাখতে হয়।