আজ, সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ অন্য নেতারা রাজঘাটে গিয়ে গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানান। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বাসে করে নয়াদিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন দলীয় কর্মী–সমর্থক ও একশো দিনের কাজের ‘বঞ্চিত’ জব কার্ড হোল্ডাররা। আবাস যোজনার ‘বঞ্চিত’ উপভোক্তারাও সেখানে হাজির আছেন। আজ সকালেই দিল্লি পুলিশের একটি দল খোঁজখবর করতে শুরু করে দেয়। ক’টি বাস এসেছে, ক’টি বাস আর আসবে, নয়াদিল্লিতে এঁদের দেখভালের দায়িত্বে কারা আছেন–সহ নানা বিষয়। আর রাজঘাটে গিয়ে গান্ধীজিকে শ্রদ্ধা জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে দলীয় কর্মীদের রাজনৈতিক স্লোগান দিতে নিষেধ করেছেন তিনি।
এদিকে মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিবসে নিজের এক্স–হ্যান্ডলে একটি লেখা পোস্ট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি জানান, মহাত্মা গান্ধীর অহিংস পথেই চলতে চান তাঁরা। তবে মহাত্মা গান্ধীর বিচার এবং সমান অধিকারের দাবিতে যে লড়াই, তাঁকেও অনুসরণ করার কথা বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। আজ কেন্দ্রীয় ‘বঞ্চনা’র বিরুদ্ধে রাজঘাটের সামনে ধরনায় বসলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাকি তৃণমূল নেতারা। প্রত্যেকেই পরেছেন, সাদা পোশাক। হাতে কালো রিবন। রাজ্যের ‘প্রাপ্য’ টাকার পরিসংখ্যান উল্লেখ করে এবং দ্রুত সেই টাকা মঞ্জুর করার দাবি তুলে একাধিক পোস্টার তৈরি করে তুলে ধরেছেন নেতারা।
অন্যদিকে রাজঘাটে কর্মসূচির পর সংসদে যাওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভকারীদের। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে তৈরি হয়েছে নতুন সংসদ ভবন। আর এই রাজ্যের জব কার্ড হোল্ডারদের সেটাই দেখাবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা জব কার্ড হোল্ডারদের বোঝাতে চাইছেন, মোদী তাঁদের জন্য টাকা না দিয়ে সংসদ ভবন তৈরির খরচে গুরুত্ব দিচ্ছেন। রাজঘাটে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। সোমবার গান্ধীজয়ন্তীর জন্য সকাল থেকেই সেখানে গান্ধীজিকে শ্রদ্ধা জানাতে যান রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী–সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যরা। তার উপর সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় নিরাপত্তা আরও নিশ্ছিদ্র করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কার টাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের ঝাঁ চকচকে পার্টি অফিস? কেষ্ট গড়ে সন্ধানে ইডি
ঠিক কী বলছেন অভিষেক? কোনও স্লোগান শোনা যাচ্ছে না ধরনা কর্মসূচিতে। এই আবহে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক দলীয় কর্মীর উদ্দেশে বলেন, ‘এখানে রাজনৈতিক স্লোগান দিও না।’ তিনি এদিন টুইটও করেছেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘জন্মদিবসে বাপুকে স্মরণ করছি। তাঁর সত্য এবং অহিংসার আদর্শ শুধু আমাদের অতীতকেই তৈরি করে দেয়নি, ভবিষ্যতের পথকেও অলঙ্কৃত করে যাচ্ছে। এই পথেই সাম্য ও সুবিচার আদায় করা হবে।’ রাজঘাটে পৌঁছেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা, মদন মিত্ররা। কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘তৃণমূলের জন্যই রাজ্যের নেতাদের দিল্লি পাঠাতে হচ্ছে বিজেপিকে।’