আদানি ইস্যুতে কি দ্বৈত অবস্থান নিচ্ছে তৃণমূল? কংগ্রেসকে এড়িয়ে চলতে চাইছে? এনিয়ে ফের নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধছে। আদানি ইস্যুতে কংগ্রেসের ডাকা বিরোধী দলগুলির বৈঠকে হাজির হলেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে উপস্থিত হলেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু কেন তৃণমূল এই দ্বৈত অবস্থান নিল তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। এনিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে তুমুল বিরোধ দানা বেঁধেছে।
তবে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বৃহস্পতিবারই এনিয়ে স্ট্র্যাটেজি বৈঠক হয়েছিল। তারপর আর নতুন করে বৈঠকের কোনও কারণ নেই। তবে এনিয়ে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর দাবি, নিশ্চয়ই মোদী সরকারের তরফে কোনও বার্তা দেওয়া হয়েছে। যার জেরে তারা এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিল না তৃণমূল। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিজেপির সব থেকে বড় দালাল অধীর চৌধুরী। নিজের আসনটা ধরে রাখার জন্য এসব করছেন অধীর চৌধুরী।
এদিকে আদানি ইস্যুতে ইতিমধ্যে সুর চড়াতে শুরু করেছে একাধিক রাজনৈতিক দল। গোটা দেশ জুড়েই উঠছে আদানি ইস্যুকে কেন্দ্র করে নানা বক্তব্য। তবে তার মধ্যে এবার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিরোধীরা। সেখানে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু আদানি ইস্যুতে আয়োজিত বৈঠকে উপস্থিত হননি তৃণমূল নেতৃত্ব। এনিয়ে স্বাভাবিকভাবে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কেন এভাবে আদানি ইস্যুতে তৃণমূল বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
তবে প্রশ্ন উঠেছে, আদানি ইস্যুতে একাধিক বৈঠকে কংগ্রেস মুখ্য ভূমিকা নিচ্ছে। তবে কি সেই বৈঠকে কংগ্রেসের আধিপত্য মানতে চাইছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব? সেকারণেই কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে থাকছেন না তৃণমূল? সেই প্রশ্নটাও উঠতে শুরু করেছে। এনিয়ে রাজনীতির অন্দরে নানা চর্চা শুরু হয়েছে।
তবে আদানি ইস্যুতে বিরোধীদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কতটা ঐক্যবদ্ধতা থাকবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। লোকসভা ভোটের মুখে ফের বড় করে সামনে আসছে আদানি ইস্যু। সেই সঙ্গেই সামনে আসছে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্য়ে জাতীয় স্তরে দ্বন্দ্ব।