প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে রক্ত লেগে রয়েছে। কারণ দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে কসাইয়ের মতো করে খতম করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যসভায় ভাষণের প্রেক্ষিতে এভাবেই তাঁকে তুলোধনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী আসলে সংসদে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ মন কি বাত সারলেন। বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কোনও গ্যারান্টি দিতে পারলেন না। অথচ সংবাদমাধ্যমে রোজ বিজ্ঞাপন বেরচ্ছে ‘মোদী সরকার কি গ্যারান্টি’।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের চাঁচাছোলা ভাষায় বিরোধিতা করেছেন ডেরেক। এমনকী এই বিষয়ে তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একাধিক কথা লিখেছেন। সেখানে সমালোচনা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই রাজ্যসভার নেতা। ডেরেকের প্রশ্ন, মণিপুর নিয়ে কেন কোনও কথা বললেন না প্রধানমন্ত্রী? অথচ মুখে বলছেন, দেশ হল শরীরের মতো। কোনও একটি অঙ্গ আঘাত পেলে গোটা শরীরই আহত হয়। সংসদকে নরেন্দ্র মোদী এক ‘গভীর অন্ধকূপ’ বানাতে চাইছেন বলেও তোপ দেগেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে ডেরেক লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যসভায় দীর্ঘ মন কি বাত সেরেছেন। তাঁর সরকার সংসদকে গভীর অন্ধকূপে রূপান্তরিত করতে চাইছে। বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি এবং মণিপুর নিয়ে কোনও গ্যারান্টি নেই। ফাঁপা শব্দ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়ে একজন ব্যক্তি বলছেন যিনি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে খতম করে হাত রক্তাক্ত করেছেন।’
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যসভায় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়ে ভাষণ দিতে দেখা গিয়েছিল। আর সেটারই তুলোধনা করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। নরেন্দ্র মোদীর কথায়, ‘আমি সবসময় বলি দেশের আজ প্রয়োজন প্রতিযোগিতামূলক সহযোগিতার যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো। রাজ্যগুলির মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকলে এগিয়ে যেতে পারবে দ্রুততার সঙ্গে। আমাদের একটা সদর্থক মানসিকতা নিয়ে চলতে হবে। আমাদের জাতিকে উন্নত করতে হবে রাজ্যগুলির উন্নয়নের মাধ্যমে। এখানে কোনও বিতর্ক নেই। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, রাজ্যগুলি যদি এক কদম হাঁটে তাহলে সেই শক্তি দেশকে আরও দু’কদম এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: ‘আব ইধার–উধার নেহি হোঙ্গে’, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর দাবি করলেন নীতীশ
এছাড়া রাহুল গান্ধীকে সরাসরি যুবরাজ আখ্যা দিয়ে নরেন্দ্র মোদী হাসতে হাসতে বলেন, ‘কংগ্রেস তো নিজের যুবরাজকে স্টার্ট আপ হিসেবেই বিবেচনা করে। কিন্তু তিনি তো নিজেই স্টার্ট নেন না। তাঁকে আর কীভাবে এগিয়ে দেওয়া যাবে?’ এরপরই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন, ‘বড় বড় কথা বলার আগে জবাব দিন, কেন লোকসভায় গত পাঁচ বছর ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ করা হয়নি? কেন গত ১০ বছরে সংসদে মৌখিক অথবা লিখিত একটিও প্রশ্নের জবাব দিলেন না নরেন্দ্র মোদী?’ কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্ক খাড়গে খোঁচা দিয়ে বলেছেন, ‘গত ১০ বছর ধরে ওরা ক্ষমতায় আছে। অথচ তাঁদের কাছে কোনও তথ্য নেই, কী করেছে দেশের মানুষের জন্য?’