রাত পোহালেই জমা পড়বে রিপোর্ট। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র ইস্যুতে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট আগামিকাল, ৮ ডিসেম্বর লোকসভায় পেশ হবে বলেই খবর। ঠিক দুপুর ১২ টা নাগাদ রিপোর্ট পেশ করা হবে। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথা জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। মহুয়া মৈত্র আর সাংসদ থাকবে কিনা সে বিষয়ে শুক্রবারই সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ তোলা হয়েছে মহুয়ার বিরুদ্ধে।
এই অভিযোগ কতটা সত্য বা মিথ্যা সেটা এখনও সেভাবে প্রমাণিত হয়নি। প্রমাণ মিলবে শুক্রবার। যদি দেখা যায়, গায়ের জোরে ছক করে কোপ দেওয়া হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের উপর তখন বাকি সাংসদরা ঝাঁপিয়ে পড়বেন। লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসর দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বলেন, ‘প্রথম দিনই বিষয়টি লোকসভার কার্যবিবরণীতে ছিল। কিন্তু সেদিন বিষয়টি ওঠেনি। আজ যখন অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গেলাম তখন ওম বিড়লা জানান যে, এথিক্স কমিটির রিপোর্টের সঙ্গে বহিষ্কারের প্রস্তাবও আসবে। শুক্রবারই বিষয়টি লোকসভায় আসবে।’
তাহলে কি খারিজ হবে মহুয়ার সাংসদ পদ? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। গোটা বিষয়টি নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি জানান তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা। কিন্তু স্পিকার ওম বিড়লা এই বিষয়ে বেশি সময় ব্যয় করতে রাজি নন। সে কথা সুদীপকে জানান তিনি। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি বলেছি রিপোর্ট সম্পর্কে মহুয়াকে বক্তব্য পেশ করার সময় দিতে হবে। আলোচনা করারও সময় চেয়েছি। গোটা ইন্ডিয়া জোট এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আছে। সেখানে সকলেরই কিছু বলার থাকতে পারে। কিন্তু, স্পিকার বলেছেন, এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমরা আধ ঘণ্টার মধ্যে এই বিষয়টির নিষ্পত্তি করব।’
আরও পড়ুন: ‘শীত থাকতেই বিয়েটা দিতে হবে’, শুভেন্দুকে বিয়ে–পাগলা বলে খোঁচা দিলেন কুণাল
আর কী জানা যাচ্ছে? ব্যবসায়ী হীরানন্দ দর্শানির থেকে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া মৈত্র বলে অভিযোগ। এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় লোকসভার এথিক্স কমিটিকে। তদন্তে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহুয়া মৈত্রকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করে এথিক্স কমিটি। যদিও সেখানে তাঁর সঙ্গে অশ্লীল এবং ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল বলে পাল্টা অভিযোগ তুলে বেরিয়ে আসেন মহুয়া। বিষয়টি নিয়ে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীও চিঠি লিখে প্রতিবাদ করেন। তবে মহুয়া মৈত্র সম্পর্কে ৫০০ পাতার রিপোর্ট দেয় এথিক্স কমিটি। সেখানে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশও রয়েছে।