বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও পিছু হঠল তৃণমূল। এককথায় বিপ্লব দেবের ত্রিপুরায় কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যাকফুটে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরায় আপাতত কর্মসূচি স্থগিত করল তৃণমূল। মঙ্গলবার রাতে টুইট করে একথা জানিয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। পলিসিতে হস্তক্ষেপ না করার ব্যাপারে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে তৃণমূল। পাশাপাশি তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে। এব্যাপারে আদালতের কাছে নালিশ করা হবে বলেও জানিয়েছে তৃণমূল।প্রসঙ্গত ২২ সেপ্টেম্বর বুধবার ত্রিপুরায় মিছিল বের করার পরিকল্পনা নিয়েছিল তৃণমূল। করোনার কারণ দেখিয়ে সেই মিছিলেরও অনুমতি দেয়নি বিপ্লব দেবের প্রশাসন। এরপরই রাতে সেই কর্মসূচি থেকে পিছিয়ে এল তৃণমূল।বুধবার ত্রিপুরায় অভিষেকের কর্মসূচি আপাতত অনিশ্চিত। এমনটাই খবর তৃণমূল সূত্রে।
এদিকে বিপ্লব দেবের প্রশাসনকে অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। মঙ্গলবার আদালতে রাজ্যের নয়া নির্দেশের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। রাজ্যের নয়া নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে অতিমারি আইনে রাজ্যে ৪ঠা নভেম্বর পর্যন্ত সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশ অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। এরপরই তৃণমূলের আবেদন কার্যত খারিজ হয়ে যায়। রাতে নিজেদের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসে তৃণমূল। মূলত ১৪৪ ধারা জারির জেরেই তৃণমূল কর্মসূচি পালন থেকে কার্যত পিছিয়ে আসতে চাইছে।
প্রসঙ্গত ত্রিপুরায় সংগঠন বৃদ্ধির জন্য় কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল। আর এর জেরে বিজেপির সঙ্গে পদে পদে সংঘাত তৈরি হচ্ছে। এমনকী তৃণমূলের নেতানেত্রীকে হামলার মুখেও পড়তে হয়েছে। তবে বিপ্লব দেবের কৌশলী পদক্ষেপে কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে এবার কিছুটা হলে থমকে গেল তৃণমূল।