লক্ষ্য ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের দ্রুত চিহ্নিত্বকরণ। আর সেই উদ্দেশ্যেই এবার নয়া প্রযুক্তির ব্যবহার করবে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রক। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় মোটর যানবাহন বিধি ১৯৮৯-এর 'ইলেকট্রনিক মনিটরিং এবং এনফোর্সমেন্ট অফ রোড সেফটি' ধারার সংশোধনের কথা বলা হয়েছে। অর্থাত্ বৈদ্যুতিন যন্ত্রের মাধ্যমে গাড়ি-বাইকের পর্যবেক্ষণ ও চালান কাটার বিষয়টি আরও কড়াভাবে প্রয়োগ করা হবে। সহজ ভাষায়, এবার কিছুটা পশ্চিমী দেশের কায়দায় আরও বেশি করে প্রযুক্তির প্রয়োগ করবেন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রকরা। এ বিষয়ে টুইটও করেছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রক।
নয়া প্রযুক্তি
১) 'ইলেকট্রনিক এনফোর্সমেন্ট ডিভাইসগুলিকে' সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার ছাড়পত্র দেবে। রাজ্য সরকার এই ডিভাইস 'নির্ভুল' হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। প্রতিবছর ডিভাইসের ছাড়পত্রের সার্টিফিকেট রিনিউ করা হবে।
২) এই ধরনের ডিভাইসগুলির মধ্যে রয়েছে স্পিড ক্যামেরা, ক্লোজ-সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরা, স্পিড গান, বডি ওয়েয়ারেবল ক্যামেরা, ড্যাশবোর্ড ক্যামেরা, অটোমেটিক নম্বর প্লেট রেকগনিশন (ANPR), ওয়েট-ইন মেশিন (WIM) ইত্যাদি। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারও নিজেদের পছন্দ মতো আরও প্রযুক্তির প্রয়োগ করতে পারে।
৩) ডিভাইসগুলি বসানোর দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা, জাতীয় মহাসড়ক, রাজ্য মহাসড়ক এবং গুরুত্বপূর্ণ জংশনে এগুলি বসানো হবে। কমপক্ষে ১০ লক্ষ জনসংখ্যাসহ সমস্ত প্রধান শহরে এগুলি স্থাপন করা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিকভাবে ১৩২টি শহরের উল্লেখ করা হয়েছে।
৪) ডিভাইসগুলি বসানোর ফলে যাতে ট্রাফিকের চলাচলে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
৫) যে কোনও ট্রাফিক আইন ভঙ্গের ক্ষেত্রে, সেটি হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে নোটিশ পাঠাতে হবে। এছাড়াও, ইলেকট্রনিক ডিভাইসের রেকর্ডগুলি চালানের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে হবে।
৬) মূলত স্পিড লিমিট ভঙ্গ, বিপদজনকভাবে ওভারটেক করা, হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো, লাল সিগন্যাল অবজ্ঞা করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই ডিভাইসগুলি প্রয়োগ করা হবে।