ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ায় ট্রেনের ধাক্কায় দু'জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করল পূর্ব রেল। বুধবার রাতের দিকে পূর্ব রেলের তরফে দাবি করা হয়েছে, আগুনের ভয়ে একটি এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে নেমে অপর লাইনের মেমু ট্রেনের ধাক্কায় যাত্রীরা পিষ্ট হয়েছেন বলে যে দাবি করা হচ্ছে, সেটা পুরোপুরি গুজব। ওরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। দুটি আলাদা জায়গায় সেই ঘটনা ঘটেছে। আর ১২ জন যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, সেটাও ভিত্তিহীন। মেমু ট্রেনের ধাক্কায় দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। আর তাঁরা কেউ যাত্রী হন বলে পূর্ব রেলের তরফে দাবি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র দাবি করেছেন, বুধবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ আসানসোল ডিভিশনের কাসিতার এবং বিদ্যাসাগরের মধ্যবর্তী জায়গায় দাঁড়িয়েছিল ১২২৫৪ ভাগলপুর-এসএমভিটি বেঙ্গালুরু অঙ্গ এক্সপ্রেস। যেখানে সেই ট্রেন দাঁড়িয়েছিল, সেখান থেকে প্রায় দু'কিলোমিটার দূরে আপ লাইনে মেমু ট্রেনের ধাক্কায় দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। সন্ধ্যা ৭ টা ৭ মিনিট নাগাদ সেই ঘটনা ঘটেছে।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বলেছেন, 'কোনও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। দু'জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হচ্ছে। ১২ জনের মৃত্যু হয়নি। তাঁরা যাত্রী নন। তাঁরা রেললাইনের উপর হেঁটে যাচ্ছিলেন।' সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কীভাবে সেই ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি।
রেলওয়ে যে বিষয়টাকে গুজব বলছে, সেই দাবিটা কী?
একটি মহলের দাবি করা হয়েছিল, জামতাড়ার কালাঝরিয়া রেল ক্রসিংয়ের কাছে দাঁড়িয়ে পড়েছিল অঙ্গ এক্সপ্রেস। সেইসময় ধোঁয়া দেখতে পেয়ে রটে যায় যে ট্রেনে আগুন লেগে গিয়েছে। আতঙ্কে ট্রেন থেকে নেমে যান যাত্রীদের একাংশ। চলে যান অপর লাইনে। তখনই উলটো দিকের লাইন থেকে একটি মেমু আসছিল। সেই মেমু ট্রেনের ধাক্কায় ১২ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে ওই মহলের তরফে দাবি করা হয়েছিল। যা গুজব বলে জানিয়েছে পূর্ব রেল।
স্থানীয় প্রশাসন কী বলছে?
জামতাড়ার মহকুমা শাসক অনন্ত কুমার বলেছেন, ‘কালাঝরিয়া স্টেশনের কাছে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। কয়েকজন যাত্রী ট্রেন থেকে নেমেছিলেন। তাঁদের ধাক্কা মারে অপর একটি লোকাল ট্রেন। কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। জেলা পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত দু’জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও জানা যায়নি।'