বিরোধী ঐক্যের কথা বললেও সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে বারংবার দূরত্ব বজায় রেখেছে তৃণমূল। এমনকি সাংসদ সাসপেনশন নিয়েও ‘একলা চলো’ নীতি গ্রহণ করেছিল তৃণমূল। এই আবহে নিজেদের দুই সাংসদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে সংসদে গান্ধী মূর্তির সামনে ধরনায় বসার কথা ছিল তৃণমূলের। অপরদিকে কংগ্রেসেরও গান্ধী মূর্তির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনের কথা ছিল। এই আবহে নিজ নিজ পথে হেঁটেও পাশাপাশি এলেন রাহুল গান্ধী, সৌগত রায়রা।
অধিবেশনের শুরু থেকেই বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করতে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খার্গে বৈঠক ডাকেন। তবে বিরোধীদের সেই বৈঠকে তৃণমূল যোগ দেয়নি। পরে গতকাল বিরোধীদের নিয়ে ডাকা শেষ বৈঠকে তৃণমূলকে ডাকাই হয়নি। উল্টে তৃণমূলের তরফে অন্য দলের সাসপেন্ড হওয়া ১০ সাংসদকে তাদের ধরনায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। তবে আজকে ধর্নায় যোগ দিলেও কংগ্রেসের পথে হেঁটে সংসদ বয়কট করবে না বলে জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির।
লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পঞ্জাবের নির্বাচন সামনে। লোকসভা বা রাজ্যসভায় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হলে তা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হবে। তাতে সরকার অস্বস্তিতে পড়বে। তাই সরকার এরম করছে। এর থেকে সরকারের মনোভাব স্পষ্ট। আজকে আধঘণ্টায় সংসদের কাজ বন্ধ করা হয়। এদিকে গতকালও এক মিনিটে লকসভার কাজ বন্ধ হয়েছিল।‘
এদিকে কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খার্গে এদিন ফের বলেন, ‘আমরা রাজ্যসভার ১২ জন বিরোধী সদস্যের সাসপেনশন প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি। আমরা বৈঠক করব এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করব।’ লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীও বলেন, ‘যতদিনরাজ্যসভার ১২ জন বিরোধী সদস্যের সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হবে, ততদিন সংসদের বাইরে আমাদের ধর্না জারি থাকবে।’