বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে দেশের ক্ষমতা থেকে বিজেপিকে উৎখাত করতেই হবে। তাই বেঙ্গালুরুতে বসেছে বিরোধীদের বৈঠক। আজ, মঙ্গলবার সেখানে হবে মূল বৈঠক এবং নানা ইস্যুগুলি নিয়ে সিদ্ধান্ত। তার আগে সোমবার বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যান্য নেতাদেরকে বলেন, গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াই শুরু হয়েছে। ঐক্যবদ্ধ মহাজোট ঠিকভাবে ঘটলে বিজেপির পতন অবশ্যম্ভাবী। এজেন্সির জুজু দেখিয়ে বিজেপি সবার মুখ বন্ধ করতে চাইছে। সেটা দ্রুত বন্ধ করা দরকার বলে সূত্রের খবর। হ্যালের বিমানবন্দর থেকে কুইনস রোডে প্রদেশ কংগ্রেস দফতর পেরিয়ে জোটের ভরকেন্দ্র দেখা গেল রেস কোর্স রোডের হোটেলে। এখানেই আজ সুর বেঁধে দেওয়া হবে।
এদিকে স্থানীয় সমস্যা এবং বিরোধ যে মহাজোটের মঞ্চে প্রভাব ফেলবে না সেটা আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন কংগ্রেস হাইকমান্ড। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে বার্তাও দিলেন তিনি। গোটা বিজেপি বিরোধী শিবিরকে সে কথাও বলেছেন সোনিয়া। তারপর কুশল বিনিময় ছাড়াও আলাদা করে কথা বললেন দু’জনে। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে গোটা সময়েই বিজেপিকে তুলোধনা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বৈঠকে উপস্থিত নেতা–নেত্রীদের বলেন, বিরোধীরা যে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে তাতে বিজেপি পরাস্ত হবেই। বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতেই তো বিজেপি এজেন্সিকে কাজে লাগাচ্ছে। সেটা বন্ধ করা প্রয়োজন।
ঠিক কী বলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী? অন্যদিকে সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে সবার উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মানুষের উন্নয়নের টাকা বন্ধ করে দিচ্ছে এই বিজেপি সরকার। ইতিহাসের সিলেবাস বদল করে দিচ্ছে। প্রত্যেক রাজ্যে জাতপাতের নামে বিভেদের রাজনীতি করা হচ্ছে। এই বিজেপিকে পরাস্ত করতেই হবে। তা না হলে এই দেশের সার্বভৌমত্ব ধরে রাখা যাবে না। দেশের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে। তার জন্য সবাইকে বিভেদ ভুলে একজোট হতে আহ্বান করছি। কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম তৈরি করে এমনভাবে এগোতে হবে যাতে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে না পারে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিরোধীদের দমাতে চাইছে।’ তবে এদিনের বৈঠকে সোনিয়া বা রাহুল গান্ধী কেউ কোনও মন্তব্য করেননি।
আরও পড়ুন: তমলুক থানার আইসি বদল হয়ে গেল, হঠাৎ এমন রদবদলের নেপথ্য কারণ কী?
আর কী জানা যাচ্ছে? মহাজোটের অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে নেতা–নেত্রীরা এদিন আলোচনায় বসেন। একটা খসড়া তৈরি হয়েছে। তার চূড়ান্ত হবে আজ, মঙ্গলবার। সেই অভিন্ন লক্ষ্য হাতে নিয়েই সম্মুখসমরে নামবে সব বিরোধী দল। কারণ সামনেই মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচন আছে। সেখানে বিজেপিকে পরাস্ত করেই এগিয়ে চলবে মহাজোট। বিরোধী জোটের নাম আর ইউপিএ থাকছে না। এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে নতুন নামকরণ কী হবে তা আজ ঠিক হবে। তবে অনেকেই চাইছেন এই জোটের নাম হোক—পেট্রিয়টিক ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স।