প্রিয়াঙ্কা দেববর্মণ
বছর ঘুরলে দেশে রাজনৈতিক তাপমাত্রা চড়িয়ে শুরু হবে ২০২৪ লোকসভা ভোট। তার আগে বেশ কয়েকটি রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা ভোট পর্ব। তবে তারও আগে, সামনেই বহু রাজ্যে উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। ফলে এবার কোমর বেঁধে শক্তি পরীক্ষার লড়াই শুরুর পালা। ত্রিপুরায় সেপ্টেম্বরে রয়েছে ধানপুর ও বক্সানগরে উপনির্বাচন। আর এই ভোট ঘিরে কার্যত বিরোধী শিবির এককাট্টা।
সেপ্টেম্বর মাসের ৫ তারিখ রয়েছে সেরাজ্যের সেপাহিজলা জেলার ধানপুর ও বক্সানগরে উপনির্বাচন। ভোটের ফলপ্রকাশ ৮ সেপ্টেম্বর। ত্রিপুরার রাজনীতির মানচিত্রে এবার এই দুই নির্বাচন ঘিরে বিরোধী জোট ঐক্যের পথে হাঁটছে। লক্ষ্য একটাই, বিজেপির বিরুদ্ধে দাপুটে জয় ছিনিয়ে আনা। জানা গিয়েছে, তিপ্রা মথা পার্টি সমেত সিপিআইএম ও কংগ্রেস একযোগে এই ভোটে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবারই একথা বিরোধীরা জানিয়েছে। এই ইস্যুতে শনিবারই সেখানে বিরোধী দলের নেতা নেত্রীদের মধ্যে হাইভোল্টেজ বৈঠক হয়। সেখানেই একযোগে লড়াই করার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে এই ইস্যুতে ‘চূড়ান্ত’ সিদ্ধান্ত আসেনি বলেই খবর। আপাতভাবে সব কয়টি বিরোধী রাজনৈতিক দল সেখানে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছে। কংগ্রেসের তরফে আশিস সাহা বলেছেন, ‘বৈঠকে আমরা উপনির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছি, কথা হয়েছে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে। তবে কোনও উপসংহারে আমরা পৌঁছতে পারিনি। তাতে পৌঁছানোর বিষয়ে আমরা আশাবাদী। তবে একজোট হয়ে বিজেপিকে হারাতে আমরা সম্মত হয়েছি।’
( Manipur Violence: অসম রাইফেলসের ট্রাক থেকে খাবার লুঠ! মণিপুরে মেইতেই মহিলা সংগঠন ঘিরে ফোকাস বাড়ছে)
কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, সোনামুরা সাব ডিভিশনের স্থানীয় পার্টি কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁরা এই ভোটে কৌশলের রূপরেখা তৈরি করতে শুরু করছেন। বাকি দুই পার্টিও তাঁদের স্থানীয় পর্যায় আলোচনা করবে বলে জানিয়েছে। আশিস সাহা বলেন,'কে প্রার্থী হবেন তা নির্ধারিত হলেই আমরা জানাব।' এদিকে ত্রিপুরার রাজনৈতিক অঙ্ক তুলে ধরে তিপ্রা মোথা পার্টির তরফে অনিমেষ দেববর্মা বলেন, ‘বিজেপি ৪০ শতাংশের এর কম ভোট পেয়েও ক্ষমতায় এসেছে, আর বিরোধী দলগুলি ৬০ শতাংশ এর বেশি ভোট পেয়েও বিরোধী বেঞ্চে বসে আছে। ১:১ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়া উচিত এবং বিরোধী ভোট যাতে ভাগ না হয় তা দেখা উচিত। আমরা শাসক বিরোধী ভোটের দিকে নজর দিচ্ছি।’