
‘বেধড়ক মারধর, ছাপ্পা, হিংসা’ - দিনভর উত্তপ্ত থাকল ত্রিপুরার পুরভোট
Updated: 25 Nov 2021, 06:23 PM IST- মোট ২২২ টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে।
সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল। দিনভর তা অব্যাহত হয়েছিল। কোথাও বিরোধীদের মারধরের অভিযোগ উঠছিল। কোথাও 'মারধরে' প্রার্থীর চোখ নষ্ট হল। কোথাও আবার ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। সবেতেই বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে পুরো আগরতলায় আবারও ভোটের দাবি তুলেছে সিপিআইএম। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে ভোটের দাবি উঠেছে। পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
ত্রিপুরায় পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
ইতিমধ্যে ভোট মিটে গিয়েছে। তারপরই পুরো আগরতলায় পুনর্নিবাচনের দাবি তুলল সিপিআইএম। বামেদের দাবি, ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে।
ত্রিপুরায় অবিলম্বে বাড়তি কেন্দ্রীয় পাঠান, পুরভোটের মধ্যে কেন্দ্রকে সুপ্রিম নির্দেশ – আরও পড়ুন এখানে।
সকাল থেকে পুরভোট চলছে। তারইমধ্যে কেন্দ্রকে অবিলম্বে ত্রিপুরায় বাড়তি দু'কোম্পানি আধা-সামরিক বাহিনী পাঠানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। যাতে রাজ্যের প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যায়।
তৃণমূলের অভিযোগ, আগরতলার বিভিন্ন বুথের বাইরে অবৈধ জমায়েত করছে বিজেপি। চার নম্বরের ওয়ার্ডের বাইরে জমায়েত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। পরে সেই জমায়েত হটিয়ে দেয় পুলিশ।
আগরতলা: ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আট নম্বর বুথে বেনিয়মের অভিযোগ উঠল। তৃণমূলের তরফে ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) পোস্ট করা হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, এক মহিলার হয়ে ভোট দিয়ে দিচ্ছেন এক ব্যক্তি।
আগরতলায় পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় স্কুলের তৃণমূলের দু'জন পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠল। দু'জনেরই গায়ে রক্ত দেখা গিয়েছে। তৃণমূল এজেন্টদের দাবি, মক পোলিংয়ের সময় এজেন্টদের মারধর করা হয়। পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, এক মহিলা এজেন্টের ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
কোথায় কোথায় বোর্ড গঠন করছে বিজেপি? বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিশালগড়, মোহনপুর, শান্তিরবাজার, উদয়পুর, রানিরবাজার পুরসভা এবং কমলপুর ও জিরানিয়া নগর পঞ্চায়েতে বোর্ড নিশ্চিত করেছে গেরুয়া শিবির। জিরানিয়ায় একটি ওয়ার্ডে ভোট হচ্ছে।
ভোটের আগের রাতেই বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ। আমবাসায় তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। একই অভিযোগ তোলা হয়েছে আগরতলার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর বাইক বাহিনীর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিলোনিয়ায় হামলা অভিযোগ করেছে সিপিআইএম। বিজেপির দাবি, বিরোদী দলের সংগঠন নেই। তাই ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।
শুরু হল ভোটগ্রহণ।
প্রতিটি বুথে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টিএসআর) থাকবে। স্ট্রংরুম এবং সরকারি প্রেসে সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ৫০ সিআরপিএফ থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাড়তি ১৫ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, আগরতলার প্রতিটি বুথে পাঁচজন সশস্ত্র জওয়ান থাকবে। বাকি রাজ্যে চারজন জওয়ান মোতায়েন থাকবেন।
এমনিতে ২০ টি পুর অঞ্চলের (আগরতলা পুরনিগম, ১৩ পুর পরিষদ এবং ছ'টি নগর পঞ্চায়েত) ৩৩৪ টি ওয়ার্ডে ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১১২ টি ওয়ার্ডে জিতে গিয়েছে বিজেপি। সেই হিসেবে ১৪ টি পুর অঞ্চলে ভোটগ্রহণ হবে। বুথের সংখ্যা ৬৪৪। ৩৭০ টি বুথকে ‘অতি স্পর্শকাতর’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ‘স্পর্শকাতর’ বুথের সংখ্যা ২৭৪।
রীতিমতো উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) ত্রিপুরায় পুরসভার নির্বাচন হতে চলেছে। গত কয়েকদিন ধরে হিংসা, সুপ্রিম কোর্টে মামলার পর ভোটগ্রহণ ঘিরে চাপা উত্তেজনা আছে। বৃহস্পতিবার মোট ২২২ টি আসনে ভোটগ্রহণ হতে চলেছে। সকাল সাতটা থেকে শুরু ভোটগ্রহণ। মোট ভোটার সংখ্যার ৫.৯৪ লাখ। ভাগ্যপরীক্ষায় অবতীর্ণ হচ্ছেন মোট ৭৮৫ জন প্রার্থী।