প্রিয়াঙ্কা দেববর্মন
বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ। চাকরির দাবিতে দিনের পর দিন ধরনায় বসে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এর মধ্য়েই পাশের রাজ্য়ে ত্রিপুরায় শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে বড় ঘটনা হয়ে গেল। ২০১৪ সালের হাইকোর্টের একটি নির্দেশের জেরে ১০,৩২৩জন শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। আর বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক আন্দোলনে নেমেছিলেন ত্রিপুরায়।
বিধানসভা অভিযানে যাওয়ার পথে সার্কিট হাউজের কাছে পুলিশ তাদের আটকায়। দুটি ব্যারিকেড টপকে তারা তিননম্বর ব্য়ারিকেডের দিকে এগোচ্ছিলেন। পুলিশ এরপর জমকামান দিয়ে তাদের আটকে দেয়। লাঠিচার্জ করেও ছত্রভঙ্গ করা হয়।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা ব্য়ারিকেড ভেঙে ফেলেছিলেন। ১৪৬জন বরখাস্ত হওয়া শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়। তবে কারোর আহত হওয়ার খবর নেই।
বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার জানিয়েছেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। মাঝপথেই পুলিশ তাদেরকে আটকায়। লাঠিচার্জ করে।জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। ৩০জন আহত হয়েছেন। এটা ক্ষমতার অপব্যবহার। এটার নিন্দা করছি।
প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের আদালতের নির্দেশে ১০২৩২ জন শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরে তাদের একাংশকে বিভিন্ন দফতরে নেওয়া হয়। ২০১৮ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে অ্যাড হক ভিত্তিতে ৮ হাজার জনকে নিয়োগ করা হয়। তবে সেই মেয়াদ ২০২০ সালের ৩১ মার্চ শেষ হয়েছে।