বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > রামেশ্বরম কাফে বিস্ফোরণে অভিযুক্ত দুই জঙ্গি বেঙ্গালুরু আনা হয়েছে, পেশ আদালতে

রামেশ্বরম কাফে বিস্ফোরণে অভিযুক্ত দুই জঙ্গি বেঙ্গালুরু আনা হয়েছে, পেশ আদালতে

আবদুল মথিন আহমেদ ত্বহা এবং মুসাভির হুসেন সাজিব এই দুই আইএস জঙ্গি

বিস্ফোরণের পর কেমন করে পালাতে হবে পরিকল্পনা করেছিল আবদুল মথিন আহমেদ ত্বহা। এদের সঙ্গে ছিল মাজ মুণির আহমেদ। এদের নাগাল পেতে ১০ লক্ষ টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করে এনআইএ। বিস্ফোরণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল রামেশ্বরম কাফের। তারপর ৮ দিন বাদে ফের খোলে। ২০২৪ সালের ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর ওই কফিশপে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে।

রামেশ্বরম কাফে বিস্ফোরণে গ্রেফতার হওয়া দু’‌জন অভিযুক্তকে বেঙ্গালুরু নিয়ে গেল এনআইএ। শুধু তাই নয়, এই দুই অভিযুক্তকে আজ, শনিবার বেঙ্গালুরু আদালতে পেশ করা হয়। নিউ দিঘার হোটেল থেকে শুক্রবার এনআইএ গ্রেফতার করেছিল মূল মাস্টারমাইন্ড ও তার সহযোগীকে। আবদুল মথিন আহমেদ ত্বহা এবং মুসাভির হুসেন সাজিব এই দুই আইএস জঙ্গি এক মাস ধরে কলকাতা–সহ রাজ্যের নানা প্রান্তে নাম ভাঁড়িয়ে লুকিয়ে ছিল। কলকাতায় যে নিরাপদে থাকা যাবে না সেটা বুঝতে পেরেই এই দুই অভিযুক্ত শহর থেকে ১৮০ কিমি দূরে কাঁথিতে গা–ঢাকা দেয়।

এই দু’‌জন অভিযুক্তকে পাকড়াও করতে এনআইএ টিম কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশ—এই তিন রাজ্যের ১৮টি জায়গায় ঘুরপাক খেয়েছিল। কিন্তু কোনও নাগাল পাওয়া যায়নি। আসলে এরা তামিলনাড়ুর দুই ব্যক্তির আধার কার্ডের নম্বর ব্যবহার করছিল। যার জন্য তাদের সহজে ধরা যাচ্ছিল না। বাংলার লজে পর্যন্ত ভুয়ো পরিচয় দিয়ে তারা গা–ঢাকা দিয়েছিল। এই দুই জঙ্গি ধরা পড়ার পর বাংলাকে জঙ্গিদের নিশ্চিত আশ্রয়স্থল বলে প্রচার শুরু করে বিজেপি। পাল্টা জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘ওরা কর্ণাটকের বাসিন্দা। বাংলায় লুকিয়ে ছিল। খবর পেয়েই দু’ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাও নাকি বাংলা সেফ নয়। তাহলে কি গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ সেফ?‌’‌

আরও পড়ুন:‌ ‘‌সব পুলিশ খারাপ নন, তিন চারজনের নাম আমার কাছে আছে’‌, হুঁশিয়ারি মমতার

এই দুই জঙ্গিকে পাকড়াও করতে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়। তারপর নিউ দিঘায় তাদের অবস্থান জানতে পারা যায়। তখনই নয়াদিল্লি ও বেঙ্গালুরু থেকে এনআইএ টিম সেখানে পৌঁছে রাজ্য পুলিশকে খবর দেয়। রাজ্য পুলিশের সাহায্য নিয়েই জঙ্গিদের পাকড়াও করা হয়। এই দুই জঙ্গির কাছ থেকে মিলেছে ল্যাপটপ, মোবাইল, আইএস কর্মকাণ্ডের প্রচারের লিফলেট–সহ নানা সামগ্রী। এই দুই জঙ্গিদের বাংলার এনআইএ আদালতে তোলা হয়। তারপর তিনদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে জঙ্গিদের বেঙ্গালুরু নিয়ে এসেছে এনআইএ। এনআইএ সূত্রে খবর, আবদুল মথিন আহমেদ ত্বহা মাস্টারমাইন্ড কাফে বিস্ফোরণের। আর মুসাভির হুসেন সাজিব ওই বিস্ফোরক রেখে এসেছিল কাফের ভিতর।

এছাড়া বিস্ফোরণের পর কেমন করে পালাতে হবে তারও পরিকল্পনা করেছিল আবদুল মথিন আহমেদ ত্বহা। তবে এদের সঙ্গে ছিল মাজ মুণির আহমেদ। এদের নাগাল পেতে ১০ লক্ষ টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করেছিল এনআইএ। বিধ্বংসী বিস্ফোরণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল রামেশ্বরম কাফের। তারপর ৮ দিন বাদে তা ফের খোলে। ২০২৪ সালের ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর ওই কফিশপে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। তার জেরে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। ৩ মার্চ বিস্ফোরণের তদন্তভার পায় এনআইএ। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে গোটা ঘটনাটি সামনে আসে। মুসাভির হুসেন সাজিবকে আইইডি দেয় মূলচক্রী আইটি ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মোমিন ত্বহা। এরা দু’জনেই শিবমোগার তীর্থাহাল্লির বাসিন্দা। আইএসের ইন্ডিয়া চ্যাপ্টারের কর্ণাটক মডিউল ‘আল হিন্দ’–এর সদস্য। বিস্ফোরণের পর হায়দরাবাদ থেকে ট্রেন ধরে বাংলায় আসে। রামেশ্বর কাফের সহ–প্রতিষ্ঠাতা রাঘবেন্দ্র রাও বলেন, ‘‌আমরা নিরাপত্তার টিম শক্তিশালী করেছি। চেষ্টা করছি এক্স সার্ভিসম্যান দিয়ে প্রত্যেকটি কাফে’‌কে সুরক্ষিত করতে।’‌

পরবর্তী খবর

Latest News

সিংহ-কন্যা-তুলা-বৃশ্চিকের কেমন কাটবে বুধবার? জানুন রাশিফল মেষ-বৃষ-মিথুন-কর্কট রাশির কেমন কাটবে বুধবার? জানুন রাশিফল প্রাইভেট গাড়িতে GNSS থাকলে হাইওয়ে-সফরে বড় ছাড়! বুধে ৭ জেলায় সতর্কতা, বৃহস্পতিতে ভারী বৃষ্টি ৪টিতে, শুক্র ও শনিতে কোথায় হবে? বাবরের সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে বিপত্তি! ভক্তের সঙ্গে দুর্ব্যবহার পাক তারকার ইংল্যান্ড সিরিজে ভালো খেলতে পারাই বাড়তি আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে: শুভমন গিল প্যারালিম্পিক্স পদকজয়ীদের মোটা আর্থিক পুরস্কার,রুপো জিতে ৫০ লক্ষ, সোনাজয়ীদের কত? এপার বাংলায় ইলিশ পাঠান, বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি, পুজোয় মিলবে পদ্মার রুপোলি শস্য়? এইডস আক্রান্ত নায়কের চরিত্রে রাজি হয়নি কোনও বলিউড হিরো, ১টাকায় কাজ করেন সলমন! প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও দুন স্কুলের প্রধান শমী দাস প্রয়াত, প্রথম চাকরি কলকাতায়

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.