নাজনিন আনসারি ও নাজমা পারভিন। দুজনেই বারাণসীর বাসিন্দা। তাঁরা অযোধ্য়া থেকে নিয়ে আসবেন রামজ্যোতি। তাঁরা সেই রামজ্যোতি নিয়ে মুসলিম এলাকার মধ্য়ে দিয়ে যাবেন। তাঁরা কার্যত এই বার্তাই দিতে চাইবেন যে তাঁদের পূর্বপুরুষের নাম হল শ্রীরামচন্দ্র। আর প্রতি ভারতীয়র ডিএনএ হল একই।
একেবারে অন্যরকম একটা ব্যাপার। এর আগে বাবরি মসজিদ মামলাকারী ইকবাল আনসারিকে রামমন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এবার দুই মুসলিম নারী অংশ নেবেন রামজ্যোতি। কাশীর ওম চৌধুরী ও পাতালপুরী মঠের মোহন্ত বলাক দাস এই যাত্রার সূচনা করবেন। মোহন্ত শম্ভূ দেবাচার্য অযোধ্য়ায় তাঁদের হাতে রামজ্যোতি তুলে দেন। রবিবার সেই রামজ্যোতি নিয়ে অযোধ্য়ায় আবার ফিরে আসবেন তাঁরা। অযোধ্য়ার মাটি ও সরযূ নদীর পবিত্র জলও কাশীতে নিয়ে আসা হবে। ২১শে জানুয়ারি থেকে এই রামজ্যোতি বিতরণ শুরু হবে।
কিন্তু যাঁদের হাতে এই রামজ্যোতি তুলে দেওয়া হল তাঁদের পরিচয়টা জেনে নিন। নাজনিন বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন। তিনি হনুমান চালিশা অনুবাদ করেছেন। রামচরিত মানস অনুবাদ করেছেন তিনি। তাঁর গুরু হলেন মোহন্ত বলাক দাস। তিনি রাম ভক্তির প্রচার ও প্রসার করেন। নাজনিন জানিয়েছেন, অযোধ্য়ায় রামমন্দির তৈরি করা হচ্ছে এতে আমরা অত্যন্ত খুশি। রামচন্দ্র হলেন আমাদের পূর্বপুরুষ। একজন মানুষের ধর্ম আলাদা হতে পারে, কিন্তু তাঁর পূর্বপূরুষ আলাদা হতে পারেন না। মক্কা যেমন মুসলিমদের কাছে পবিত্র জায়গা তেমনি অযোধ্য়া হল হিন্দুদের কাছে পবিত্র স্থান। যাঁরা ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করেন তাঁদের কাছে পবিত্র জায়গা হল অযোধ্য়া।
নাজমা বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপর পিএইচডি করেছেন। ১৭ বছর ধরে তিনি রাম ভক্তির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। গোটা দেশ জুড়ে তাঁরা সম্প্রীতির পক্ষে। তিন তালাকের বিরুদ্ধেও তাঁরা আওয়াজ তুলেছেন।
২০০৬ সালে যখন সঙ্কট মোচন মন্দিরে জঙ্গি হানা হয়েছিল তখন নাজনিন আর নাজমা সেখানে গিয়ে হনুমান চালিশা পাঠ করেছিলেন।