এবার পারমাণবিক ডুবোজাহাজ জলে নামাল রাশিয়া। এর সঙ্গেই প্রশ্ন উঠেছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মারণাস্ত্র প্রয়োগ করবে রাশিয়া? এর আগে মস্কোর তরফে বলা হয়েছিল, রাশিয়ার ‘অস্তিত্ব সংকটে’ পড়লে রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করবে। আর গতকাল ভ্লাদিমির পুতিন নিজের ভাষণে অভিযোগ করেন যে ‘রাশিয়ার সংস্কৃতিকে বাতিল করে দিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলি।’ আর এরই মধ্যে সমুদ্রে রাশিয়ার পারমাণবিক ডুবোজাহাজ নেমেছে। যা নিয়ে শঙ্কা বেড়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে। রাশিয়া এখনই আক্রমণ থামাবে বলে কোনও ইঙ্গিত মিলছে না। এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর পারমাণবিক বাহিনীকে বিশেষ সতর্কতার মধ্যে রাখার ঘোষণা করেন। আর এর কয়েক ঘণ্টা পরই রাশিয়া তাদের পারমাণবিক সাবমেরিন সমুদ্রে নামিয়েছে। এই কারণে পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনাও বেড়েছে।
রাশিয়ান পারমাণবিক সাবমেরিনগুলি একই সাথে ১৬টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম। এই সাবমেরিনগুলি উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে মোতয়েন করা হয়েছে। রাশিয়ার এই পদক্ষেপের বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বর্তমানে মরিয়া হয়ে ওঠা ক্রেমলিন নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে যে কোনও পর্যায়ে যেতে পারে। রাশিয়ার পর্যবেক্ষণকারী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুতিন আগ্রাসী কৌশল অবলম্বন করতে পরমাণু হুমকি দিচ্ছেন। এর আগে ২০১৪ সালের ক্রাইমিয়ার যুদ্ধের সময়ও তিনি এই একই কাজ করেছিলেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়া তাদের পারমাণবিক অস্ত্র এবং বাহিনীকে ৩ মার্চ থেকে উচ্চ সতর্কতায় রেখেছে। ২২ মার্চ মস্কো ন্যাটোকে হুমকি দিয়ে বলেছিল যে ন্যাটো সীমান্ত অতিক্রম করলে ক্রেমলিন পারমাণবিক হামলা করবে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন, রাশিয়া যদি ‘অস্তিত্বগত হুমকির’ সম্মুখীন হয় তাহলে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে। এই আবহে রাশিয়ার পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন শঙ্কা বাড়িয়েছে গোটা বিশ্বের। যদিও দ্য টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, মোতায়েন হওয়ার কিছু পরেই সাবমেরিনগুলি রাশিয়ায় ফিরে এসেছে এবং আপাতত এদুলির গতিবিধি নগণ্য। তবে তাতে শঙ্কা পুরোপুরি দূর হচ্ছে না।