বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আলফার সঙ্গে শান্তি চুক্তি করা হবে বলে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এবার এ বিষয়ে আরও খোলাসা করলেন আলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়া। চলতি বছরের শেষের দিকেই কেন্দ্র এবং অসম সরকারের সঙ্গে আলফার ত্রিপাক্ষিক শান্তি চুক্তি হবে বলে জানালেন অনুপ চেটিয়া। উল্লেখ্য, বছর শেষ হতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। ফলে অনুপের বক্তব্য অনুযায়ী এই কয়েকদিনের মধ্যেই শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পৌঁছেছে আলফা ও অসম সরকারের প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: শীঘ্রই আলফার সঙ্গে শান্তিচুক্তি, সেনা ছাউনির বাইরে হামলার পরেই
অনুপ চেটিয়া জানিয়েছেন, আলফার একটি দল দিল্লিতে পৌঁছেছে। সেখানে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে প্রক্রিয়া চলছে। অনুপ চেটিয়া এবং আলফার পররাষ্ট্র সচিব শসাধর চৌধুরী উভয়ই সোমবার নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। জানা গিয়েছে, চুক্তিতে স্বাক্ষর করার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে উভয়পক্ষ দেখা করতে পারে।
উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ আগে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন, আলফার সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় শান্তি চুক্তি এই বছরের শেষে বা আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে স্বাক্ষরিত হতে পারে। তিনি জানান, প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সুরক্ষার পাশাপাশি আলফার ভূমি অধিকারের দাবিগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এই চুক্তিতে।
অসমের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্যে ১৯৭৯ সালে আলফা গঠিত হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এর আগে আলফা গোষ্ঠীর হামলার নিন্দা করেছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি জানিয়েছিলেন, গ্রেনেড হামলা রাজ্যের উন্নয়নকে বাধা দেবে। হিংসা অসমকে আরও পিছনে নিয়ে যাবে। কয়েকটি গ্রেনেড বিস্ফোরণ অসমকে স্বাধীন করবে না। তবে অসম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অসমে একটি নতুন পরিবেশ তৈরি হয়েছে এবং রাজ্যে বিনিয়োগও আসছে। এই ধরনের ঘটনা অসমের উন্নয়নকে থমকে দেবে। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের শেষের দিকে অথবা নতুন বছরের শুরুর দিকে এই শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। সেই মতোই আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে চলেছে।